সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মবিরতি আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ৪০ ঘণ্টা কর্মবিরতির পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন তারা।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৩টা থেকে ওসমানী হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে চিকিৎসকরা কাজে ফেরেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আমরা আজ বিকেল ৩টা থেকে কাজে যোগ দিয়েছি।
এর আগে সোমবার (২১ আগস্ট) হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন নগরের দক্ষিণ সুরমার এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের ওপর হামলা, নার্সদের হেনস্তা, চিকিৎসক ও নার্সদের কক্ষ ভাঙচুর করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করে। পরে ওইদিন রাতে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রওশন হাবীব বাদী হয়ে আটক ওই চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন মহানগরের মোগলাবাজার থানাধীন কুচাই নোয়াগাঁওয়ের শাহাব উদ্দিনের ছেলে জুবেল আহমদ (২৭), তার সহোদর জুয়েল আহমদ (২৩) ও সাবেল আহমদ (২১) এবং তাদের চাচা একই গ্রামের বাতির আলীর ছেলে আব্দুল মালেক (৫৪)।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। বৈঠক শেষে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার বলেছিলেন, বুধবার দুপুর ১২টার পর তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বুধবার বিকেল ৩টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের ডিউটিতে ফিরেছেন। আশা করবো, হাসপাতালে আসা রোগীরা নিয়মশৃঙ্খলা মেনে স্বাস্থ্যসেবা নেবেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোববার (২০ আগস্ট) কুচাই শ্রীরামপুর নোয়াগাঁওয়ে বাতির আলীর ছেলে শাহাব উদ্দিনকে (৪০) মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৯ নম্বর শয্যায় ভর্তি করা হয়। পরদিন সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের কথা-কাটাকাটি হয়।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভিযোগ, রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের হেনস্তা করেন। এসময় চিকিৎসকরা দৌড়ে পাশের ওয়ার্ডে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। পরে রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডের ভেতরে চিকিৎসকের কক্ষে ও নার্সের কক্ষে ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ চারজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাতে বৈঠক করে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টান চিকিৎসক পরিষদ।
জেবি