সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাংলাদেশ দলে অভিষেকের পর আগ্রাসী ব্যাটার হিসেবে পরিচিতি পান তামিম ইকবাল। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাটিং করে তাক লাগিয়ে দেন বিশ্ব ক্রিকেটে। সেই থেকে তামিম হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনার।
দীর্ঘ ১৬ বছরের ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে তামিম ইকবাল। তার বিদায় বেলায় জাতীয় দলে নাম লিখিয়েছেন আরেক তামিম। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসা তানজিদ হাসান তামিম বয়স ভিত্তিক দলের হয়ে দেখিয়েছেন দুর্দান্ত পারফর্ম। সবশেষ ইমার্জিং এশিয়া কাপে ব্যাটিং ধারাবাহিকতা দেখিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এশিয়া কাপের দলে।
তামিম ইকবালের শুরুটা যেমন দেখেছেন সুজন, তানজিদ তামিমের শুরু থেকেও জড়িত তিনি। রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক একাডেমি থেকে বয়সভিত্তিক দলগুলোতেও তানজিদের পাশে ছিলেন সুজন।
এক তামিমের বিদায় বেলায় আরেক তামিমের শুরু। তবে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন দুই তামিমের শুরুর সময়টাকে দেখছেন একই রকম।
‘আমি তাদের (ওপেনার) থেকে কী আশা করি? দারুণ একটা সূচনা। ও (তানজিদ তামিম) ওরকমই প্লেয়ার। আমি সিনিয়র তামিমের ছোট বেলা যদি মনে করি, ও যেরকম ব্যাটিং করতো জুনিয়র তামিম এরকমই ব্যাটিং করে। তানজিদ তামিমের এটাই স্টাইল।’
তামিম ইকবাল শুরু থেকে যেভাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন, সেটা ধরে রাখতে পারেননি। ক্যারিয়ারের বেশ কিছু সময় তাকে নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। তবে জুনিয়র তামিম যেন তার স্টাইল ধরে রাখতে পারে সেই প্রত্যাশাই করেন সুজন।
‘ও যদি এটা ধরে রাখে, আমি চাই ও রাখুক। ও যেন খুব একটা না বদলায়। আমরা যেন চাপ তৈরি না করি বাইরে থেকে। ক্রিকেট এমন একটা খেলা সফল হবেন বা ব্যর্থ হবেন। আমি মনে করি এই ছেলের লম্বা পথ পাড়ি দেওয়া, বড় ক্রিকেটার হওয়ার সামর্থ্য আছে।’
সুজন এটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন, বয়সভিত্তিক আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। এশিয়া কাপে যদি তামিম ব্যর্থও হয় তবু হতাশ হবেন না তিনি।
‘এশিয়া কাপে যদি ও ব্যর্থ হয়, আমি একটুও চিন্তা করবো না। কারণ এ দল, হাই পারফরম্যান্সের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিস্তর একটা ফারাক আছে। এটা আমাদের মানতেই হবে। তারপরও আমি মনে করি তানজিদ ওই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেবে। সেখানে যদি ও নিজের খেলাটা খেলে, বাংলাদেশকে দারুণ একটা সূচনা এনে দেবে।’
এমআর/