সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল সকাল মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে হাজির জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। মুশফিকের নেতৃত্বে একে একে মাঠে ঢুকেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটাররা।
মুশফিকুর রহিমকে ট্রফির পাশে দেখা যায় আনমনে ঘুরঘুর করতেও। ক্যারিয়ারের অনেকটা শেষ বেলায় এসে হয়তো ভাবছিলেন, এই ট্রফিটা যদি একবার জিততে পারতাম! পরের বিশ্বকাপ যে মুশফিক খেলবেন না সেটি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
এরপর একে একে সবাই হোম অব ক্রিকেটে একপাশে মঞ্চে রাখা সোনালি ট্রফিটার পাশে এসে দাঁড়ান। মিরপুরের মেঘলা আকাশেও সোনালী ট্রফিটা দ্যুতি ছড়াচ্ছিল আশপাশ।
আইসিসির কন্টেট ক্রিয়েটর থেকে শুরু করে সাংবাদিক, সবার হাতেই তাক করা ক্যামেরার লেন্স। মুশফিকের হাতে তখন অধরা স্বপ্ন নামের বিশ্বকাপ ট্রফিটা। এরপর জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সবাই থরে থরে দাঁড়িয়ে পড়েন বিশ্বকাপ ট্রফির দুপাশে। ছবি তোলেন ট্রফির সঙ্গে। ছবি তোলা শেষে যে যার মতো ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনুশীলনে।
তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান, শামীম হোসেন, তানজিদ হাসান ও রিশাদ হোসেনরা তখনও ট্রফির পাশে মঞ্চেই দাঁড়িয়ে থাকলেন। তাসকিন বারবার দেখছিল্রন স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি। আর দুইমাস পরেই তো ট্রফিটা উঠবে সেরা দলের হাতে। শামীম পাটওয়ারী তো ট্রফিতে চুমুও খেলেন।
ট্রফি দেখা শেষে মুশফিক, তাসকিন ও স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথরা অংশ নেন আইসিসির কন্টেট ক্রিয়েটরদের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে। এসময় মুশফিক তুলে ধরেন বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতার নানা কথা।পুরনো অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলকে বিশ্বকাপে এগিয়ে রাখবে বলেও মুশফিকের বিশ্বাস।
তাসকিন প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ দলের পেস বিভাগের। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো করার তিনটি কারণ জানতে চাওয়া হলে তাসকিন বলেন, টিম অ্যাফোর্ট, অনেস্টি ও হার্ড ওয়ার্কের কথা।
ক্রিকেটারদের পালা শেষে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় মাঝমাঠে। সেখানে কিছুক্ষণ পর ছবি তোলেন গ্রাউন্ডম্যানরা। এরপর ট্রফি নিয়ে আসা হয় মিডিয়া বক্সের সামনে। সেখানে সাংবাদিকরা ছাড়াও ছবি তুলেছেন বিসিবি'র কর্মকর্তারাও। ছিল বিকেএসপির ক্রিকেট বিভাগের ছাত্ররাও।
বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি দেখতে আসেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনও। এসময় তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ট্রফিটা ছুঁয়ে ধরতে পেরে খুব ভালো লাগছে, একটা স্বপ্ন তো থাকেই। যদি খোলা ট্রফিটা ধরতে পারতাম জেতার পরে, তাহলে আরও ভালো লাগবে। একটু রোমাঞ্চ অনুভব করছি, আমাদের জন্য বিশ্বকাপ মনে হচ্ছে আজকে শুরু হয়ে গেল।’
আর সে যাত্রায় বাংলাদেশ দলকে নিয়ে আশাবাদী মনে হলো হাবিবুলকে, ‘প্রতিটা বিশ্বকাপ আসে আশা নিয়ে, দিনদিন আশা বাড়ছে। আশা প্রতিবারই পরিবর্তন হচ্ছে, আর এবারের আশাটা শুধু আমার নয়, সবারই একটু বেশি। কারণ গত দু’বছর ধরে খুব ভালো খেলছি আমরা ৫০ ওভারের সংস্করণে।’
বিশ্বকাপ ট্রফি বিশ্বভ্রমণের অংশ হিসেবে বুধবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ট্রফি উন্মুক্ত থাকবে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে। সেখানে জনসাধারণের দেখার ব্যবস্থা থাকবে।
এমআর