সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
দেশের ক্রিকেটের মেঘা ইভেন্ট খ্যাত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরবর্তী আসর হতে পারে আট দলের। আগামী আসরে যোগ হতে পারে রাজশাহীর ফ্রাঞ্চাইজি। একটি দল পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। এমনটা জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
দল বাড়ার কথা বললেও সময়সূচি নিয়ে চিন্তিত ইসমাইল হায়দার। যদিও গত বিপিএলের পরই জানানো হয়েছিল, আগামী বছর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী আসর। গত কয়েক আসরের মতো এবারও ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে হবে বিপিএল।
যদিও আগের পরিকল্পনাতেই স্থির আছেন আয়োজকরা। এনিয়ে শনিবার ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছেন, ‘এই বছর জাতীয় নির্বাচন আছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ এখনো ঘোষণা করেনি। বিপিএল কবে শুরু করতে পারি সেই আলোচনা আমাদের একটি বোর্ড মিটিংয়ে হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই আমরা বিপিএল করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে শোনা যাচ্ছে পত্রপত্রিকায়। সেক্ষেত্রে আমরা ১০ তারিখ বা এর আগে পরে একটা সুইটেবল ডেট দেখে বিপিএল শুরু করবো। জানুয়ারিতে শুরু করে আবার ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করতে হবে। কারণ শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে।’
বরাবরই ব্যস্ত সময়ে থাকে বিপিএলের সূচি। ওই সময়টায় বেশ কয়েকটি দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ অনুষ্ঠিত হওয়ায় ক্রিকেটাররা দম ফেলানোর ফুরসত পাননা। যে কারণে ভালো মানের বিদেশী ক্রিকেটর পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। তবে আশার কথা শোনালেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
‘আমরা চাই ১০ জানুয়ারি থেকেই বিপিএল শুরু করতে। এর আগেও যদি করার সুযোগ থাকে এবং জাতীয় নির্বাচন যদি আগে হয়ে যায় তাহলে আগেও করতে পারি। জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে বিপিএলের উইন্ডো কম থাকে। জাতীয় দলের খেলাটাকে আমরা সর্বাধিক প্রায়োরিটি দেই। এর বাইরে এক মাস নেই যেখানে আমরা বিপিএল-টা হোষ্ট করতে পারি। ভালো হতো নভেম্বর-ডিসেম্বরে করতে। কিন্তু ওই সময়ে জাতীয় দলের খেলা আছে। তাই ওই স্লটেই আছে।’
এদিকে প্লেয়ার্স ড্রাফট সেপ্টেম্বরে শেষ করার কথাও বলেছেন তিনি, ‘প্লেয়ার্স ড্রাফটা চেষ্টা করবো সেপ্টেম্বরের থার্ড বা লাস্ট উইকে শেষ করে ফেলতে যেন প্রত্যেকটি টিম দল গোছাতে পর্যাপ্ত সময় পায়। আমরা গতকাল ও পরশু সম্ভাব্য যারা ফ্রাঞ্চাইজি আছে প্রত্যেককে জানিয়ে দিয়েছি যে, সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফট করবো এবং জানুয়ারিতে খেলাটা শুরু করতে চাই।’
নতুন দল নিয়ে তিনি যোগ করেছেন, ‘আমাদের কাছে আগ্রহী তিন-চারটা প্রতিষ্ঠানের নাম নেওয়া আছে। আগের কেউ যদি কন্টিনিউ করতে না চায় তাহলে আমরা পরিবর্তন করে দিতে পারি। আমাদের যদি স্লট বাড়ে তাহলে একটা টিম বাড়াতেও পারি।’
শেষ দুই বিপিএলে ডিআরএস নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছে। গ্রুপ ম্যাচে ডিআরএস সরবরাহ করতে পারেনি আয়োজকরা। এবার শুরু থেকেই থাকবে ডিআরিএস, ‘গতবার ডিআরএস আনতে পারিনি গ্রুপ ম্যাচে। কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ম্যাচে ছিল। এবার ডিআরএস কিন্তু কোনো প্রোডাকশন কোম্পানি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এদের কাছে নেই। বোর্ড সরাসরি ডিআরএস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। চার বছরের জন্য তাদেরকে পাচ্ছি।’