সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সর্বশেষ ইউরোয় কোয়ার্টার-ফাইনালেই থেমে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির পথচলা। ওই টুর্নামেন্টের পরই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান ম্যানুয়েল নয়্যার, টনি ক্রুস, ইলকাই গুন্দোয়ান ও থমাস মুলারের মতো তারকা ফুটবলাররা।
হুট করে এই চার ফুটবলারের অবসরে কিছুটা চাপে থেকেই উয়েফা নেশন্স লিগে খেলতে নেমেছিল জার্মানি। তবে, হাঙ্গেরিকে রীতিমত গোলবন্যায় ভাসিয়েছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ডুসেলডর্ফে ৫-০ গোলে জিতেছে জার্মানি। দলের হয়ে গোল করেন নিকোলাস ফুয়েলখুগ, জামাল মুসিয়ালা, ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ, আলেকজান্ডার পাভলোভিচ ও কাই হাভার্টজ।
ম্যাচের শুরু থেকে কিছু অগোছাল ফুটবল খেলছিল দুদল। কেউই প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের তেমন পরীক্ষা নিতে পারছিল না। ম্যাচের ২০তম মিনিটে গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিল জার্মানি। মুসিয়ালার পাস থেকে ফুয়েলখুগের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন হাঙ্গেরির গোলরক্ষক পেতার গুলাসি। এই সুযোগ হাতছাড়া হলেও গোল পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি জার্মানদের।
ম্যাচের ২৮তম মিনিটেই কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। মুসিয়ালার পাস থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান ফুয়েলখুগ। এরপর ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ পেয়েছিল জার্মানি। তবে, হাভার্টজের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে হতাশ হতে হয় জার্মানিকে।
প্রথমার্ধে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬তম মিনিটে দারুণ শট নেন হাঙ্গেরির বেন্দেগুস বোল্লা। তবে, সেই আক্রমণ দক্ষতার সাথে রুখে দেন জার্মান মিডফিল্ডার রবার্ট আন্দরিচ। হাঙ্গেরি সমতায় ফিরতে না পারলেও ঠিকই এগিয়ে যায় জার্মানি।
৫৭তম মিনিটে ভিরৎজের থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন মুসিয়ালা। এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই বায়ার্ন মিউনিখ তারকা। এরপর ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন ভিরৎজ। মুসিয়ালার পাস থেকে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ফুটবলার।
ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন বদলি নামা পাভলোভিচ। এবারও অ্যাসিস্টের ভূমিকায় মুসিয়ালা। তার পাস থেকে বল জালে জড়ান পাভলোভিচ। আর কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন হাভার্টজ। ৮১তম মিনিটে স্পট কিকে ব্যবধান বাড়ান তিনি। শেষদিকে আরও একটি প্রচেষ্টা করলেও তা গোলে পরিণত করতে পারেননি হাভার্টজ।
কে