সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
লম্বা একটা সময় ধরে বাংলাদেশ দলের পেস ডিপার্টমেন্টকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সে সময় অনেকেই দলে এসেছিলেন আর গেলেন ঠিকই তবে কেউই থিতু হতে পারেননি মাশরাফীর মতো।
এরপর আসেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদরা। মোস্তাফিজ দলের নিয়মিত সদস্য হলেও তাসকিন আহমেদকে প্রায় সময়েই দলের বাইরে থাকতে হয়েছে চোটের কারণে। মোস্তাফিজও নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন ফর্মে ফিরতে।
বাজে সময়টা কেটে গেছে। তাসকিনও এখন অনেকটা পরিপূর্ণ, মোস্তাফিজও ফর্মে ফিরেছেন। এই দুইয়ের সঙ্গে যোগ হয়েছেন হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম আর এবাদত হোসেনের মতো গতিময় পেসাররা।
একটা সময় ঘরের মাঠে পেসারদের হাতে বল তুলে দিতে দ্বিধায় থাকতেন কোচ-অধিনায়ক। সেই সময় পার করে ফেলেছে বাংলাদেশ। এখন পারলে পাঁচ পেসার নিয়ে খেলতে না পারার আক্ষেপে পোড়ায়।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে একটি ওয়ানডে ম্যাচ ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পেছনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে পেসাররা। আয়ারল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজেও হারানোর মূল ভূমিকায় ছিলেন পেসাররা।
তৃতীয় ওয়ানডেতে তিন পেসার মিলেই নেন ১০ উইকেট। হাসান মাহমুদ নেন ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাসকিন আহমেদ মাত্র ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।
দলে তাসকিন বেশ পুরনো আর অভিজ্ঞ। তার চোখে তরুণদের উন্নতিটা বেশ ভালো লাগার। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে হাসান মাহমুদকে নিয়ে কথা উঠতেই তাসকিন বলেন, ‘আরও ভালো করুক (হাসান), ১০ উইকেট করে নিক আমি চাই। কারণ আমি তো আগেই বললাম পাঁচজনই ভাই। সবাই যত ভালো করবে, প্রতিপক্ষ চাপ অনুভব করবে। কারণ ওরা কি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কি না? না। আমিই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি চাইবো সবাই মিলে ভালো করতে। তাহলে বিশ্ব ক্রিকেটে একটা হুমকি যাবে যে বাংলাদেশের পেস বোলাররা গ্রো করতেছে। ও ১০ উইকেট নিলেও আমার কোনও ক্ষতি নাই বা আমার উন্নতি নাই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমি, আমার বেস্ট রেকর্ডটা ভেঙে আরও ভালো করতে চাই। দোয়া করি সবাই ভালো করুক।’
তাসকিন মনে করেন পেস ইউনিটের সবাই একটা পরিবার। মিলেমিশে থেকে প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হতে চান তারা।
‘সবাই সবার দিক থেকে চিন্তা করছে। ইউনিট হিসেবে সবাই ওয়ার্ল্ড ক্লাস বোলার হলে, এই ইউনিটটাকে সামলাতে সবার অসুবিধা হবে। বড় দলে চার-পাঁচটা ভালো বোলার থাকে। আমরাও সেটাই চাচ্ছি। পেস বোলাররা ফ্যামিলির মতো, সবাই সবার ভালো চেয়ে কাজ হেল্প করতেছি।এখনও আমাদের নেক্সট লেভেলে যাওয়া বাকি।’