সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কয়েকদিন পরই শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ। এবার ঈদ ও পহেলা বৈশাখ মিলিয়ে টানা ৫দিন ছুটি পেতে যাচ্ছেন কর্মজীবীরা। ঈদের ছুটিতে ভ্রমণ পিপাসুরা যান্ত্রিক শহরের ক্লান্তি দূর করতে ছুটে আসেন পাহাড়-হ্রদে ঘেরা প্রকৃতির লীলাভূমি পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে বিনোদনকেন্দ্রগুলো। এবারের টানা ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করে নিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন রাঙামাটির পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
টানা ছুটিতে সাজেক ভ্যালি, ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই লেক, পলওয়ে পার্ক, আরণ্যক ও সুবলং ঝর্ণাসহ আরও মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পটগুলো মুখরিত হয়ে উঠবে হাজার হাজার পর্যটকে।
রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে কাপ্তাই হ্রদ। বর্ষা মৌসুমে হ্রদ পানিতে টুইটুম্বর থাকলেও এইবছর গ্রীষ্ম শুরুর কিছুটা আগে থেকেই কমতে শুরু করেছে হ্রদের পানি। তবে এখনো পানি পুরোপুরি কমে গিয়ে হ্রদ ভ্রমণের অনুপযোগী হয়ে পড়েনি। তবে শুষ্ক মৌসুম হওয়াতে পাহাড়ি যে ঝর্ণাগুলো রয়েছে সেগুলোতে পানি নেই।
রাঙামাটি ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, সামনের ঈদের ছুটিকে উপলক্ষ করে পর্যটকদের বরণ করে নিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইতোমধ্যে আমাদের ট্যুরিস্ট বোটগুলো সংস্কার ও রঙ করে তৈরি করে রেখেছি। আশা করছি এবারের ঈদের ছুটিতে বেশ ভালো রকমের একটা পর্যটক সমাগম হবে এবং আমাদের ভালো ব্যবসা হবে।
পর্যটকদের চাপ সামলাতে শহরের প্রায় শতাধিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ প্রস্তুতি সেরেছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ হোটেলের ৫০-৬০ ভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষগুলো।
হোটেল মতি মহলের ব্যবস্থাপক চন্দন কুমার বর্মন বলেন, আমরা পর্যটক বরণে শতভাগ প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের যেসব কাজ ছিল যেমন- রুমগুলো রঙ করা, সুযোগ-সুবিধাগুলো বৃদ্ধি করা, এসব কাজ আমরা শেষ করেছি। ইতোমধ্যেই আমাদের প্রায় ৫০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। আশা করছি ঈদে শতভাগ বুকিং থাকবে।
হোটেল হিল পার্কের ব্যবস্থাপক স্বপন শীল বলেন, এবারের ঈদের ছুটির সঙ্গে পাহাড়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবিও যোগ হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাহাড়ে বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি ঈদ এবং বৈসাবি উপলক্ষে এবার রাঙামাটিতে প্রচুর পর্যটক সমাগম হবে। আমরা পর্যটক বরণে প্রস্তুত আছি।
রাঙামাটিতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় পণ্য হচ্ছে স্থানীয় তাঁতে বোনা বিভিন্ন পোশাক। তাই টানা বন্ধে আগত পর্যটকদের চাহিদার কথা বিবেচনায় বাহারি সব পণ্যের পসরা সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বনানী টেক্সটাইলের স্বত্বাধিকারী বাবলা মিত্র বলেন, যেহেতু আমাদের ব্যবসাটা পুরোটাই ট্যুরিস্ট নির্ভর, তাই আমরা এবার ট্যুরিস্টদের জন্য বেশ ভালো কিছু কালেকশন এনেছি। আশা করছি ভালো একটা পর্যটক সমাগম হবে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ খুব আনন্দদায়ক। সেই থিম মাথায় রেখে পর্যটকদের জন্য আমরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রস্তুত রেখেছি। আমাদের বিনোদন কেন্দ্রগুলোও নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। আশা করি খুব ভালো পর্যটক পাবো এবার।
পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ট্যুারিস্ট পুলিশ রাঙামাটি জোনের উপপরিদর্শক খাদিজা আক্তার বলেন, রাঙামাটিতে আগত পর্যটকদের জন্য প্রতিবারের মত এবারও যথেষ্ট নিরাপত্তা আমরা জোরদার করেছি। আমাদের টহল পার্টি এবং সিভিল পার্টি পর্যটন স্পটগুলোর নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আছে। যেকোন ধরনের অপ্রত্যাশিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আমরা সচেষ্ট আছি।
এও