সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মধুমতি নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। ইতোমধ্যে জয়পুর ইউনিয়নের পার আমডাঙ্গা ও লোহাগড়া ইউনিয়নের ছাগলছেড়া গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, আমরা দীর্ঘ ৩-৪ বছর ধরে মধুমতী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে আছি। বিগত দিনে কিছু সহোযোগিতা পেলেও এ বছরে নতুন করে এখনও কোনো সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। সরকারি যে সাহায্য সহযোগিতা সেটি খুবই নগন্য ছিল। নতুন করে কোনো সরকারি ও স্থানীয় কোনো প্রতিনিধি আমাদের পাশে এসে দাঁড়াইনি। আমরা এখন সর্বশান্ত হয়ে গেছি। আমাদের মাথা গোঁজার ঠাই নেই। দুই গ্রামের এখনো প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই ভাঙন পায় দুই কিলোমিটার বিস্তৃত।
পার আমডাঙ্গা গ্রামের আ. সবুর খান, নুর আলম মাস্টার, সোহাগ মাস্টার, ও জাহেদা বেগম, রাজীব মুন্সিসহ এলাকাবাসী জানান, আমাদের গ্রামের শতবর্ষের মসজিদ-মাদরাসা, কবরস্থানসহ আমাদের অসংখ্য ঘর-বাড়ি ও হাজার একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে আমরা এখন পথে বসেছি। আমরা সরকারি ও স্থানীয়ভাবে কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। এছাড়া এলাকাবাসী সরকারের কাছে নদীভাঙন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনের দাবি জানান।
লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৮২ জনকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নদীভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে আমরা কয়েকবার ভাঙনকবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেছি।
নড়াইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন জানান, ২০২০-২১ অর্থ বছরে নদী ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু সেটিও এখন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ওই এলাকার ভাঙনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পুনরায় নদীভাঙন রোধে কাজ করা হবে।
জেবি