সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বর্ষা শেষ, এসেছে শরৎ। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুল জানান দিচ্ছে উৎসবের ঋতু শরতের বার্তা। শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। আর এ মৌসুমকে ঘিরে বরগুনায় শুরু হয়েছে মাসব্যাপী শরৎ উৎসব।
আয়োজকরা জানান, বিশ্ব পর্যটন দিবসকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ পর্যটনের অমিত সম্ভাবনাময় জেলা বরগুনায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ উৎসব। জেলা পর্যটন উন্নয়ন উদ্যোক্তা কমিটির সহযোগিতায় সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম অ্যান্ড রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শরৎ উৎসব।
উৎসবে থাকছে গ্রামীণ সংস্কৃতির হারিয়ে যাওয়া বধূ উৎসব, ইলিশ উৎসব, পিঠা উৎসব, পুঁথিপাঠ উৎসব, ঘুড়ি উৎসব, জোছনা উৎসব এবং ফানুস উৎসবসহ ব্যতিক্রমী নানা আয়োজন। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বেড়েছে পর্যটকদের পদচারণা। জেলার পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্যই এমন উদ্যোগ বলে জানান আয়োজকরা।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম অ্যান্ড রিসোর্টে শরৎ উৎসব উদ্বোধন করেন বরগুনার জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম। এসময় জেলার পর্যটন শিল্প বিকাশে নানা পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। আর পর্যটকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার।
উৎসবে আসা সেতু নামের একজন বলেন, এ ধরনের উৎসবে এই প্রথম দেখলাম। শরৎ নিয়েও উৎসব হতে পারে তা এর আগে কখনও শুনিনি। সত্যি এখানে এসে ভীষণ ভালো লাগছে।
হিরা নামে একজন বলেন, দেশের বৃহত্তম ইলিশ উৎসবের পাশাপাশি জোসনা উৎসব অনুষ্ঠিত হতো বরগুনায়। কিন্তু করোনার ধাক্কায় তা বন্ধ হয়ে যায়। শরৎ উৎসবের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যাওয়া সব উৎসব পুনরায় চালুর পাশাপাশি উৎসবের জেলা হিসেবে খ্যাতি পাবে বরগুনা, এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।
জেলা পর্যটন উন্নয়ন উদ্যোক্তা কমিটির সভাপতি ও সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম অ্যান্ড রিসোর্টের প্রধান উপদেষ্টা সোহেল হাফিজ বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমৃদ্ধ বরগুনা জেলা এখানে সমুদ্র আছে দীপক বন আছে সুন্দরবন কাছাকাছি। তাই দেশ ও বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আমরা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
জেলা পর্যটন উন্নয়ন উদ্যোক্তা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফ খান বলেন, আমরা চাই আমাদের নান্দনিক সৌন্দর্যের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ুক পুরো বিশ্বজুড়ে। দেশ ও বিদেশের পর্যটকরা এসে আমাদের জেলার নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করুক। এর মাধ্যমে বরগুনা জেলা যেমন এগিয়ে যাবে ঠিক তেমনিভাবে কর্মসংস্থান হবে হাজার হাজার মানুষের।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুস ছালাম বলেন, বরগুনার পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে এই উৎসব অনন্য ভূমিকা রাখবে। আর আমরা এখানে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। আমাদের আহ্বান থাকবে, ভ্রমণপিপাসুরা বরগুনা আসুক এবং এ জেলার সৌন্দর্য উপভোগ করুক।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বরগুনার পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আবাসন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে। পদ্মা সেতুর ইতিবাচক দিকের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে পর্যটকদের পদচারণা বেড়েছে। আশা করছি আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বরগুনা জেলাও পর্যটনের ভ্রমণপিপাসুদের তৃষ্ণা মেটাতে অনন্য ভূমিকা রাখবে। সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় উদ্যোক্তাদেরও পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে আহ্বান জানাই। সব ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এই জেলার পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
এইউ