সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা সংবিধানে হাত দিয়েছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাদের পরাজিত করেছেন। বিএনপি আন্দোলনের নামে সংবিধানে হাত দিয়ে সংবিধানকে আবারও সেই পাকিস্তানি ধারায় ফেরানোর অপচেষ্টা করছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন আমু। গণতন্ত্র-উন্নয়ন ও সাংবিধানিক শাসন বাধাগ্রস্তকারী বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা যখন পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে তখন স্বাভাবিকভাবেই ষড়যন্ত্রকারীদের গাত্রদাহ হচ্ছে।
১৪ দলের এই মুখপাত্র বলেন, খালেদা জিয়া কারাবন্দি অবস্থায়ও নিজের বাড়িতে থেকে সুষ্ঠু চিকিৎসা নিতে পারছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা তার কাছ থেকে দিক নির্দেশনা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। শেখ হাসিনা এই সুযোগ করে দিয়েছেন। এর চেয়ে ভালো গণতন্ত্র, মানবাধিকার কোন দেশ দিয়েছে? আর কত স্বাধীনতা চান আপনারা?
কোনো ষড়যন্ত্র এই দেশের মাটিতে টিকবে না জানিয়ে আমু বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বারবার বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। শত শত নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। তারপরও আওয়ামী লীগ টিকে আছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়েছে। এই দেশে গণতান্ত্রিক ধারা, মুক্তিযুদ্ধের ধারা অব্যাহত রয়েছে। আগামীতেও সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে তা অব্যাহত রাখা হবে।
সমাবেশে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে না জিতলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না। ২০২৪ সালে গঙ্গা চুক্তি নবায়ন হবে না। করোনা পরবর্তীকালে শেখ হাসিনা দক্ষ হাতে দেশ সামলেছেন বলেই আজকে কেউ না খেয়ে নেই।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামকে যারা বন্ধ করতে পারেনি তারাই আজকে ষড়যন্ত্র করছে নির্বাচন বানচাল করার। মুক্তিযোদ্ধারা এখনও বেঁচে আছে। একাত্তরের হাতিয়ার এখনও গর্জে উঠেনি। যদি প্রয়োজন হয় আরেকবার গর্জে উঠবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, আমরা যখন ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তখনই দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদের) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, আমাদের দফা একটি। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচন। দেশি বিদেশি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের এক দফা সামনে রেখে আগামী নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
আরও বক্তব্য রাখেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, গণআজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস কে শিকদার, জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খানসহ অনেকে।
জেডএ