সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জাতির পিতাকে হত্যা করার পর ইসলামের নাম নিয়ে অনেকে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ইসলাম ধর্মের প্রচার-প্রসারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
রোববার (৩০ জুলাই) সকালে পঞ্চম পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করি তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব কোনো ভবন ছিল না। আমি ১০ তলা ভবন নির্মাণ করে দিই। সব জেলায় স্থায়ী অফিস ছিল না, মাত্র ৩৪টি জেলায় অফিস ছিল। আমি প্রতিটি জেলায় অফিসের ব্যবস্থা করে দিই, সেখানে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমি যখন বায়তুল মোকাররম মসজিদকে উন্নত করার জন্য প্রকল্প নিলাম, কাজ শুরু করলাম, সেখানে আমাদের মহিলাদের নামাজের সুব্যবস্থা, পুরুষদের নামাজের সুব্যবস্থা, অজুখানা থেকে শুরু করে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা, মিনার তৈরি করে দিচ্ছি, তখন ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এই মসজিদের কাজ বন্ধ করে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আট বছর পর আমরা ক্ষমতায় এসে বায়তুল মোকাররম মসজিদকে আবার পুনর্নির্মাণ করে উদ্বোধন করি, এখানে আমাদের সৌদি সরকারও সহায়তা করে। শুধু বায়তুল মোকাররম মসজিদ না, ক্যান্টনমেন্টে একটি বড় মসজিদের কাজ শুরু করছিলাম, তখন খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল এত বড় মসজিদে কে যাবে নামাজ পড়তে? মিনারগুলো তৈরি করতে দেয়নি। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে মসজিদটা নির্মাণ করি। ইসলাম ধর্মের নামে রাজনীতি করে কিন্তু ধর্মীয় কাজে তাদের কোনো আন্তরিকতা ছিল না। যা ছিল, শুধু লোক দেখানো।
শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (বিএনপি) চরিত্র তো জানেন, তারা অগ্নিসন্ত্রাসী। গতকালকেও দেখেছেন। কতগুলো বাস পুড়িয়েছে। এর আগে জীবন্ত মানুষগুলোকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গতকালকেও তাদের ভয়ংকর অগ্নিসন্ত্রাসী রূপ আবার দেখলাম।
ইমাম, মুসল্লি এবং মোয়াজ্জিনদের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম হয়। এগুলো থেকে মানুষ যেন বিরত থাকে সেজন্য আপনাদের খুতবায় সচেতন করবেন।
শেষে পঞ্চম পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেডএ