সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে আছে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা। উন্মাদ হয়ে গেছেন তারা। এরা এখন লুটের টাকা কীভাবে রক্ষা করবে তা নিয়ে চিন্তায় আছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষক কর্মচারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কেউ নাকি বলেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা। এটা বলতে হবে কেন? সবার ভূমিকা দেখে বোঝেন না। কি বলছে সবাই। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
শিক্ষাব্যবস্থার খারাপ অবস্থার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, শিক্ষাকে বাঁচাতে সরকারের পরিবর্তন করতে হবে। টাকা ও দলীয় বিবেচনা ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ হয় না। এ খাত পঙ্গু করে দেশকে নতজানু করে রাখতে চায়। পাঠ্যক্রমে শিক্ষা নেই।
শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তার লোকজন নানা অপকর্মে জড়িত। তার অনুসারীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুট করছে। শিক্ষিকা এবং ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করছে। এমনকি এ মন্ত্রীর লোকজন আজ বালু খেয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে।
ফখরুল বলেন, অনেক অন্যায় করেছেন। অনেক হত্যা, নির্যাতন চালিয়েছেন। দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছেন। কেড়ে নিয়েছেন মানুষের সব অধিকার। তাই দেশ রক্ষায় এ সরকারকে সরাতে হবে। সরকারকে সরাতে যা যা করার সবই করতে হবে। বিদায় হতেই হবে।
তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না তারা। গণমাধ্যমকে তাদের কথা অনুযায়ী চলতে হয়। অদৃশ্য শক্তি সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারে না।
আজ সারাদেশে আওয়াজ ওঠেছে, এ সরকারকে বিদায় করো। তাদের রাজনৈতিক সময় শেষ হয়ে গেছে। এখনও সময় আছে মানে মানে কেটে পড়ো।
আরএ