দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছিল। সাধারণ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। মানুষ তা ভুলে যায়নি। নতুন করে বিএনপি দেশের আগুন সন্ত্রাস চালানোর পায়তারা করছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার ও সংসদ এলাকা কবর অপসারণের দাবিতে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, হামাগুড়ি, হাঁটা ও বসা কর্মসূচি দিয়ে মানুষকে যে সম্পৃক্ত করা যায়নি সেটা তারা বুঝতে পেরেছে। তাই এখন দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নতুন করে চক্রান্ত চলছে। আপনাদের বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে এবং রাজপথে থাকবে। কাউকে আর ২০১৩-১৫ সালের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। এবার কঠোরভাবে দমন করা হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কিছু কিছু সংগঠন আছে পৃথিবীতে, যারা মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করে। তারা কাউকে কিল মারলে বিবৃতি দেয়, কাউকে ঘুষি মারলেও বিবৃতি দেয়। কিন্তু তাদের আত্মীয়-স্বজন কাউকে মেরে ফেললে কোনো বিবৃতি নাই। ২০১৩-১৪ সালে যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, ফিলিস্তিনের শিশুরা যখন ঢিল ছুড়ে তার প্রতিবাদে ইসরাইলে সৈন্যরা যখন পাখির মতো শিশুদের শিকার করে, তখন কোনো বিবৃতি নাই।
তিনি বলেন, আসলে যাদের জন্ম রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে, খুনের ওপর দাঁড়িয়ে, যাদের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে জিয়াউর রহমানের মতো একজন নির্মম-নিষ্ঠুর মানুষ। যিনি নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসির আদেশে সই করতেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল এভাবেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০১৩-১৫ সালে এই দেশে নির্মমতা হয়েছে, মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক দাবি আদায়ের জন্য পৃথিবীর কোথাও এভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়নি।
দয়া করে আমাদের গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না কেউ– জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা অনেকের পছন্দ নয়। সেজন্য নানা ছলছুতায় প্রথমে আনে মানবাধিকার, তারপর বলে সুষ্ঠু পথে নির্বাচন হয়নি। আমাদের দেশে অবশ্যই আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও জনগণের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে। সরকার সর্বোচ্চভাবে নির্বাচন কমিশনকে এটি করার জন্য সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, আমাদের পার্লামেন্ট ভবনে ঘেরাও করে কেউ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়নি। আমাদের দেশে পরাজিত প্রার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরাজয় মেনে নেয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পরাজয় মেনে নেয়নি। যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান, তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নেই।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে খালেদা জিয়ার যেন সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত হয়, সেজন্য সরকার যা কিছু করার তা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। কিন্তু বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে আপনার রাজনীতি করবেন, সেটা তো করতে দেওয়া যায় না। বিএনপি খালেদা জিয়াকে রাজনীতির দাবার গুটি বানিয়েছে। এতে করে মনে হয়েছে, তারা চায় না বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ হোক। তারা চায় খালেদা জিয়া আরও অসুস্থ হয়ে থাকুক। আদালতের অনুমতি ছাড়া তো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এ নিয়ে দয়া করে রাজনীতি করবেন না।
আরএ