সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুনের মারধরের শিকার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাবির ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
রোববার (১ অক্টোবর) ফেসবুকে এই পোস্ট করেন তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেন, দীর্ঘ ২১দিন চিকিৎসা শেষে এখন মোটামুটি সুস্থ আছি। আমার নাকের ভেঙে যাওয়া অংশে মেডিকেল টিমের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২মাস পরে অপারেশন করানো হবে। আমার দুটি দাঁতের চিকিৎসা করানো হয়েছে এবং চোখে চশমা নিতে হয়েছে।
তিনি আরও লিখেন, সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি। আমার মতো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মীর খোঁজ-খবর নিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের, যারা আমার নিয়মিত খোঁজ-খবর নিয়েছেন। আমার দুঃসময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক অসংখ্য নেতাকর্মী ভাই হিসেবে আমার পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
বিশেষ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ভাই এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান ভাই যেভাবে আমার পাশে ছিলেন তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।
শিগগিরই রাজপথে দেখা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাবির ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে শাহবাগ থানায় নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে। থানায় নির্যাতনের পর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নাঈম হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
মারধরের ঘটনার পর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তাকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়। শাহবাগ থানার ওসি মো. গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নারীঘটিত ঘটনার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত। বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুন ও সানজিদাকে একসঙ্গে আড্ডা দিতে দেখে রেগে যান সানজিদার স্বামী আজিজুল হক মামুন (রাষ্ট্রপতির এপিএস)। এরপর মামুন ও হারুনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ঘটনার পর পুলিশ এসে মামুন ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের থানায় নিয়ে যায়। সেখানেই তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
জেডএ