সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না জামায়াত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নেতারা। তারা বলেন, জামায়াত কখনও কোনো প্রহসন ও পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বলা হয়- আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতি সন্নিকটে। এখনও দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে বুদ্ধিজীবী মহল ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের মতামতকে কোনো রকম তোয়াক্কা না করে সরকার দেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে ঠেলে দেওয়ার অশুভ চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
তারা আরও বলেন, আমরা সরকারকে সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। জামায়াতে ইসলামী একটি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। জামায়াত কখনও কোনো প্রহসন ও পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। গত ১৫ বছর ধরে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আসছে। মানুষ তার সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ সরকারের আমলে কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি।
বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের জুলুম-নিপীড়ন অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসির দণ্ড দিয়ে তা কার্যকর করা হয়েছে। লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
আরও বলা হয়- আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে গত বছর ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীকে দুই বছরের অধিক সময় ধরে জেলে আটক রাখা হয়েছে। তারা উচ্চ আদালত থেকে বারবার জামিন লাভ করলেও মুক্তি পাচ্ছেন না। উচ্চ আদালত থেকে তাদের পুনরায় গ্রেপ্তার না করার নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও তা মানা হচ্ছে না।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের সাথে যে নিষ্ঠুর আচরণ করছে তা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। পুলিশ প্রতিনিয়ত জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে হানা দিচ্ছে। বাড়ি-ঘরে ঢুকে ভাঙচুর ও তছনছ করছে। বাড়িতে থাকা মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধদের সাথে অসম্মানজনক আচরণ করছে যা অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয় কাজ।
অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি মেনে নিয়ে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন নেতারা।
আরএ