দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেঁদেছেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বার্ষিকীতে নিহতদের স্মরণে আলোচনাসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেদিনের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্না করেন তিনি। এ সময় পনেরো আগস্টের প্রেক্ষাপটও সামনে আনেন তিনি।
চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কী অপরাধ করেছিলাম আমি! বাবা-মা-রাসেলসহ এতগুলো মানুষকে হত্যা করা হলো। আমাকে দেশে আসতে দেওয়া হলো না। মামলা করতে দেওয়া হলো না। বিচার চাইতে দেওয়া হলো না। ন্যূনতম মানবাধিকারটুকু থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হলো।
সোমবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তৃতা তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিএনপি ভোটের অধিকারের কথা বলে। তারা মানবাধিকারের কথা বলে। যারা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন— আমরা যারা ১৫ অাগস্ট আপনজন হারিয়েছি, ৩ নভেম্বর আপনজন হারিয়েছি, আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে, মৃত্যুবরণ করেছে বিএনপি-জামায়াতের হাতে, তাদের মানবাধিকার কোথায়?
আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা মাঝে মধ্যে মানবাধিকারের কথা বলেন। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন— কাদের শেখানো বুলি তারা বলে। এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বারবার হয়েছে, যার মূলহোতাই হচ্ছে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। আইভি রহমান ৫৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৪ আগস্ট মারা যান। প্রায় দেড় বছর পর মৃত্যু হয় ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। সব মিলিয়ে ২৪ জন মারা গেছেন।
জেডএ