দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে সমুদ্র থেকে গ্যাস পাবে দেশ। এতে ভান্ডারে যোগ হবে নতুন গ্যাস। শিল্পের গ্যাস সংকট থাকবে না। পরিকল্পিত শিল্প গড়লে গ্যাসের কোনো সংকট হবে না। আর ভোলায় শিল্প-কারখানা করলে সঙ্গে সঙ্গেই উদ্যোক্তা গ্যাস পাবেন।
শনিবার (৫ আগস্ট) মতিঝিলে ‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সর্বোত্তম ব্যবহার ও বঙ্গবন্ধুর দর্শন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
সেমিনারের আয়োজন করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার, জ্বালানি বিষেশজ্ঞসহ ঢাকা চেম্বার সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার, এফবিসিসিআই নেতা ও ব্যবসায়ীরা।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গভীর সমুদ্রে কাজ করার জন্য একটা অবস্থানে এসেছি। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম তেল কোম্পানি এক্সন মবিলসহ অনেক কোম্পানি সমুদ্রে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। এক্সন মবিলতো লিখিতভাবে আবেদন করেছে। সেটা যাচাই-বাছাই করছি, সার্ভে কমপ্লিট হলে দরপত্র আহ্বান করা হবে। আমরা আশা করছি, সমুদ্র থেকে আগামী সাত-আট বছরের মধ্যে গ্যাস পাব। অফশোর উইন্ড পাওয়ার (সমুদ্রের বাতাসের শক্তি থেকে নেওয়া শক্তি) করার জন্য ডেনমার্কের একটি কোম্পানি প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। অফশোরে গ্যাসের জন্য মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভেও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
নসরুল হামিদ বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু চাইলেন নিজস্ব বিদ্যুত ও জ্বালানির ব্যবস্থা করা। তার মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তিতাসসহ পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র শেল অয়েল কোম্পানির কাছ থেকে ১৭ কোটি টাকায় কিনে নিয়েছিলেন। তখনকার ১৭ কোটি টাকা অনেক বড় অর্থ ছিল। সেই কেনায় পাঁচ গ্যাসক্ষেত্র জাতীয় অর্থনীতিতে ৩ লাখ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। আমরা এখনও গ্যাস ব্যবহার করছি। তিনি না কিনলে আমরা গ্যাসের আমদানিতে থাকতাম। আমাদের এত শিল্প গড়ে উঠতো না, দেশ এগোতো না।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আশুলিয়ায় একটা শিল্পের লাইনে গ্যাস টানা হয়। সেখান থেকে আরও পাঁচজন আসেন তাদের শিল্পে গ্যাস লাইন নেওয়ার জন্য, পরে একই লাইনে একটা গ্রামেও গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়। তাহলে একটা লাইনে কতটুকু গ্যাস পাওয়া যাবে। আপনারা পরিকল্পিত শিল্প গড়ে তুলুন গ্যাসের সমস্যা দূর হবে। আমাদের ভোলায় গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। আপনারা শিল্প গড়ে তুলুন সঙ্গে সঙ্গেই গ্যাস পাবেন। কিন্তু ভোলার গ্যাস পাইপে করে খুলনায় নেওয়াটা সময়সাপেক্ষ, তবুও আমরা সব উদ্যোগ নিচ্ছি।
বিদ্যুৎ নিয়ে তিনি বলেন, একটা সময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন শহরের মতোই গ্রামের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে হবে। তাকে শহীদ করা হলেও তার স্বপ্ন পূরণে তার দুই কন্যাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তার কন্যা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই বিদ্যুতের বেসরকারিকরণ করেছিলেন। বিদ্যুতের উৎপাদনে জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর আবারও সব বন্ধ করা হয়। আবার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়িয়েছেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গেছে।
জ্বালানি বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন ঢাকায় ২০০ তেলবাহী গাড়ি ঢুকছে। এতে যানজট হচ্ছে আবার ফুয়েল খরচ বাড়ছে, সময় লাগছে। আমরা পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিমান ও গাড়ির তেল ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করছি। আগামী দুই বছর পর আর কোনো তেলের গাড়ি ঢাকায় আসবে না, সব পাইপ লাইনের মাধ্যমে আসবে। এয়ারপোর্টেও পাইপে আসবে তেল এটা হবে অটোমেশন।
জেডএ