সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছেন, শহরের গাড়ির মালিকরা অনেক গরিব। যাদের গাড়ি জ্বালানো হয়েছে বিএনপি থেকে যেন তাদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দেওয়া হয়।
রোববার (৩০ জুলাই) সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, কাল যাদের গাড়ি পোড়ানো হয়েছেে তাদের মধ্যে এমনও অনেক মালিক আছেন যে, পোড়ানো ওই গাড়ির ওপর তার পরিবার ও বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ নির্ভর করে। এখন তাদের কি হবে?
তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৪, ১৫-র মতো জ্বালাও পোড়াও শুরু করেছে। সেই সময়ে আমাদের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। একজন জ্বালাবে অন্যজন ক্ষতিপূরণ দেবে, এটা যেন না হয়। যারা জ্বালাচ্ছে তাদের থেকে যেন ক্ষতিপূরণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, তখন ৯২ জন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। এমনও ঘটনা ঘটেছে গাড়ি চালাচ্ছেন ড্রাইভার। তার কাঁধে গামছা ছিল, সেটা দিয়ে তাকে বেঁধে গায়ে পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে যেন পরিবহন খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করা না হয়। এসব তারা (বিএনপি) করছে একটা ভীতি বা আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য। গাড়ি বন্ধ রেখে আমরা জনসাধারণকে কষ্ট দিতে চাই না। এসব জ্বালাও-পোড়াও করে দাবি আদায় সম্ভব নয়।
এনায়েত উল্যাহ আরও বলেন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে যারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করে তাদের যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তাদের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। বিএনপি থেকে যেন গরিব গাড়ির মালিকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দেওয়া হয়।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, বিএনপির সমাবেশের কথা শুনলে ভবিষ্যতে কেউ রাস্তায় গাড়ি নামাতে চাইবে না, ভয় পাবে। কারণ বিএনপি তো আন্দোলন দিয়েই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। গতকালকের সমাবেশেই তার প্রমাণ দিলো।
জেডএ