সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পুলিশের গুটি কয়েক শীর্ষ কর্মকর্তাকে নিয়ে তীব্র ক্ষোভ চলছে অধস্তনদের মধ্যে। তারা বলছেন, শেষ মুহূর্তেও মাঠে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কোনও দিকনির্দেশনা না দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন তারা। এজন্যই পুলিশের এত সদস্য ক্ষুব্ধ জনতার হাতে নির্মমভাবে মারধরের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
তাদের ভাষ্য, চিহ্নিত কিছু কর্মকর্তাদের জন্য পুলিশের আজকের এই অবস্থা। তারা পুলিশের মতো একটি শৃঙ্খল বাহিনীকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করেছেন। তারাই পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। চিহ্নিত সেসব কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশের দুই লাখ সদস্যকে মৃত্যুর মুখে ফেলে নিজেরা পালিয়েছেন।
এদিকে পুলিশের নতুন নিয়োগ পাওয়া আইজিপি ময়নুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যার মধ্যে সব সদস্যকে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এখনও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন। তারা যদি নিজ নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে আক্রমণের শিকার হন, তাহলে এর দায়ভার কে নেবে?
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, পুলিশের নিম্ন পদমর্যাদার সদস্যরাও অফিসারদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। অবস্থা এমন পর্যায়ে যে, রাস্তায় জনগণের মারধর আর কার্যালয়ে গিয়ে অধস্তনদের সামনে অপমানিত বা মার খাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলার মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের মারধর ও ধাওয়া দিয়েছেন নিম্ন পর্যায়ের সদস্যরা।
জানা যায়, বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পর্যন্ত পদমর্যাদার সদস্যরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। তাদের দাবি, পুলিশকে রাজনীতিকরণ বন্ধে স্বাধীন কমিশন বা স্বতন্ত্রভাবে পুলিশকে পরিচালনা করার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোসহ অধস্তন কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, পদোন্নতি ও পদায়ন স্বচ্ছতার মাধ্যমে করার আহ্বান জানানো হয়।