সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন সিয়ামকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হত্যার পর মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলার সঙ্গে এই ব্যক্তি জড়িত বলে মনে করছে তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে, গতকাল বুধবার (২২ মে) গভীর রাতে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে কলকাতার নিউটাউন থানা পুলিশ।
এদিকে যে গাড়িতে করে এমপি আনারের মরদেহের টুকরো নিয়ে যাওয়া হয় সেই গাড়িটিও জব্দ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। গত ৩০ এপ্রিল অনলাইন রেন্টালের মাধ্যমে গাড়িটি ভাড়া করে হত্যাকারীরা।
কলকাতায় খুন হলেও, তার হত্যাকারীরা বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে এরমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ।
তারা হলেন- হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া চরমপন্থি দল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমানউল্লাহ আমান, মোস্তাফিজ ও ফয়সাল।
গত ১২ মে ভারতের কলকাতায় যাওয়ার পর দুইদিন পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনবারের এই সংসদ সদস্য। চিকিৎসার কথা বলে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর আনার ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতা যান।
সেখানে তিনি উঠেছিলেন দীর্ঘদিনের পরিচিত বরানগরে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। দুইদিন সেখানে থাকার পর বেরিয়ে যান বেরিয়ে যাওয়ার পর আর তার খোঁজ মেলেনি।
এরপর বুধবার (২২ মে) সকালের দিকে তার খুনের খবর সামনে আসে। জানা যায়, কলকাতার কাছেই নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনের (ব্লক ৫৬ বিইউ) একটি ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয়।
কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, আনারকে সঞ্জীভা গার্ডেনে হত্যা করার পর মরদেহ অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। তবে মরদেহ পাওয়া নিয়ে পরিষ্কার করে তারা বলছে না এখনও।
এদিকে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার আক্তারুজ্জামান শাহীন। তিনি ঝিনাইদহের বাসিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। শাহীনের ভাই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র।
হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক বন্ধু ও চরমপন্থি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে। কলকাতায় বসে হত্যার চূড়ান্ত ছক কষে বাংলাদেশে আসেন শাহীন।
পরে আমানসহ ছয়জন মিলে এমপি আজিমকে সঞ্জীবা গার্ডেন নামের একটি ফ্ল্যাটে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে ডেকে আনেন। এরপর তাকে জিম্মি করে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে ভরে ফেলা হয় অজ্ঞাত স্থানে।
ডিপি/