সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
প্রাক পর্যবেক্ষক দলের তৈরি করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তারা বলেছেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নির্বাচন সহায়ক পরিবেশ নেই।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ইইউ আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে এ তথ্য জানাতে পারে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে তাদের এই মতামত জানিয়েছে। তাদের নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য উপযোগী বলে মনে করছে না।
প্রাক পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিবাচনে পর্যবেক্ষক দল না পাঠালেও ছোট আকারের বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হতে পারে নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহের জন্য।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, প্রাক পর্যবেক্ষক দলের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নির্বাচন সহায়ক পরিবেশ নেই বলে মনে করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় পর্যবেক্ষক দল পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ। তবে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের তথ্য নিজস্ব সূত্র থেকে পাওয়ার সুবিধার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ছোট আকারের একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হতে পারে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে যোগোযোগ করা হলে তারা এমন কোনো চিঠি এখনও আসেনি বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আমরাও শুনেছি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর বিষয়টি। তবে এখনও আমাদের কাছে মেইল বা সরাসরি কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি। এসব চিঠি অধিকাংশ ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে ইসিতে আসে।
উল্লেখ্য, গত ৮ থেকে ২৩ জুলাই নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউ’র ছয় সদস্যের একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশ সফর করে। প্রতিনিধি দলটি মূলত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে মূল্যায়ন করে। প্রাকনির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলটি বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে।
আরএ