সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জামায়াত-শিবিরের ৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহবাগ মোড়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এই মামলা দায়ের করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর এই তাণ্ডব চালায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ। তিনি জানান, সরকারি কাজে বাধা, মারধর, গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে একটি মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানেন না বলে জানান ওসি।
গত সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাঈদী। সেই খবরে জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী রাতেই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ও শাহবাগে ভিড় করেন। লাশ হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে তারা তাণ্ডব চালায় বলে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, যখন লাশ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়, তখন হাজার হাজার জামায়াত-শিবির লাশবাহী গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। তারা কোনো মতে এই লাশ পিরোজপুরে নিয়ে যেতে দেবে না। এ সময় লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে থাকা পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে জামায়াত-শিবির। সঙ্গে তারা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।
এই হামলায় ডিসি রমনাসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা আহত হন। তারা পুলিশের ৪-৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং দুটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, আমরা ধৈর্য্য সহকারে এই তাণ্ডব সহ্য করেছি, তারা লাশ নিয়ে যেতে চাচ্ছে নিয়ে যাক। আমরা কোনো শক্তি প্রয়োগ করিনি। ফজরের নামাজের পরে তাদের আবারও অনুমতি দেওয়া হলো জানাজা পড়ার। কিন্তু ফজরের নামাজের পর তারা আমাদের অফিসারদের বের করে বিএসএমএমইউ দখলে নিয়ে নিলো। তারা লাশ পিরোজপুর নিতে দেবে না।
এর মধ্যে তারা ফেসবুকে প্রচার করতে শুরু করে সারা দেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের শাহবাগে আসার জন্য। তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় তাদের ওপরে অত্যন্ত সীমিত আকারে শক্তি প্রয়োগ করা হয়। টিয়ার শেল নিক্ষেপের মাধ্যমে বিএসএমএমইউ মুক্ত করে সাঈদীর লাশ পিরোজপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এইউ