সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহাবুবুর রহমান আসামিকে কারাগারে পাঠান।
গ্রেপ্তার সাকিব মিয়া বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ১৪ মে রাতের খাবার শেষে স্বামীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন গৃহবধূ। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব ও তার দুই বন্ধু সাইদুল মিয়া এবং শাহেদ মিয়া গৃহবধূর স্বামীকে ডাক দেন। এসময় সাকিব জানায় তার এক স্বজন অসুস্থ, তাকে দেখতে যেতে হবে। সাকিব ওই গৃহবধূর স্বামীর মোটরসাইকেলটি চেয়ে নেন। গৃহবধূর স্বামী ঘর থেকে মোটরসাইকেলটি বের করে দেন। পরে মোটরসাইকেলটি কিছু দূর নিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় আসামিরা গৃহবধূর স্বামীকে ডাকতে থাকেন এবং মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিন চালু করে দিতে বলেন। এসময় ভুক্তভোগীর স্বামী মোটরসাইকেলটি স্টার্ট দিতে গেলে কৌশলে সাইদুল মিয়া ও শাহেদ মিয়ার সহযোগিতায় সাকিব মিয়া ওই গৃহবধূকে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় গত ১৬ মে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাকিব ও তার দুই সহযোগী সাইদুল ও শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাকিব আজ আদালতে হাজির হন। পরে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জিনিয়া বখশ বলেন, মামলার প্রধান আসামি সাকিব মিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে মামলার অন্য দুই আসামি সাইদুল ও শাহেদ ১৫দিন কারাভোগের পর নিম্ন আদালত থেকে ২৩ জুলাই জামিন পান।
জেবি