সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাৎসি সেনাকে আমন্ত্রণ জানানোয় বিতর্কের মুখে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে হাউস অব কমন্সে দেওয়া বক্তব্যে ট্রুডো বলেন, এ ঘটনায় ‘ভয়ানক ভুল’ হয়ে গেছে। ওই সময় এই পার্লামেন্টে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের সবার পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাইছি।
জাস্টিন ট্রুডো আরও বলেন, সঠিক পরিচয় না জেনে ওই ব্যক্তিকে সম্মান জানানো একটি ভয়ানক ভুল। নাৎসি বাহিনীর নিষ্ঠুরতার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি অশ্রদ্ধা। এ জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার কানাডার পার্লামেন্টে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই দিন কানাডার পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে হাজির ছিলেন।
অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন ৯৮ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় নাগরিক ইয়ারোস্লাভ হানকা। এ সময় তাকে ‘বীর’ হিসেবে প্রশংসা করেন স্পিকার রোটা। উঠে দাঁড়িয়ে জানানো অভ্যর্থনা (স্ট্যান্ডিং ওভেশন) পান হানকা। রোটা তার প্রশংসা করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর ১৪ ওয়াফেন-এসএস গ্রেনাডিয়ার ডিভিশনে কাজ করেছিলেন হানকা। এটি ছিল নাৎসি বাহিনীর অধীন একটি স্বেচ্ছাসেবী ইউনিট। এই ইউনিটের বেশির ভাগ সদস্য ছিলেন ইউক্রেনীয়রা।
কানাডার পার্লামেন্টে হানকাকে সম্মান জানানোয় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। পরে রোটা দাবি করেন, তিনি হানকার নাৎসি-সংশ্লিষ্টতার কথা জানতেন না। তিনি তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভুল করেছেন। অবশেষে সমালোচনার মুখে গত মঙ্গলবার স্পিকারের পদ ছাড়তে হয় রোটাকে।
সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ট্রুডোও। সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। ঘটনাটি কানাডার পার্লামেন্টের জন্য খুবই বিব্রতকর।