সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বর্ষা গ্রীষ্মের জ্বলন্ত তাপ থেকে স্বস্তি এনে দেয়। তবে এই মৌসুমে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। জ্বর, সর্দি-কাশি তো থাকেই, সেই সঙ্গে চোখের সংক্রমণের হারও দেখা দেয়। এর মধ্যে আছে কনজাংটিভাইটিস, স্টাই, শুষ্ক চোখ, কর্নিয়ার ক্ষত। যা দ্রুত সমাধান করতে না পারলে অস্বস্তি এবং সম্ভাব্য জটিলতা বেড়ে যেতে পারে। চলুন চোখের এই সমস্যাগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
১. কনজেক্টিভাইটিস
জিরো ভাইরাল কনজাঙ্কটিভাইটিস অত্যন্ত সংক্রামক একটি ভাইরাস। যা যোগাযোগের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে চোখের লালভাব, চোখ দিয়ে জল পড়া এবং জ্বালাপোড়া করা। পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ ফুলে যায় এবং আঠালো ডিসচার্জ হতে থাকে।
২. স্টাই
চোখের পাতার প্রান্তের কাছে একটি যন্ত্রণাদায়ক, লাল ফুসকুড়ির মতো হয়। যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে ঘটে। এটি ফোলা, ব্যথা এবং অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে।
৩. শুষ্ক চোখ
আর্দ্রতা ও আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে অনেক সময় চোখ শুকিয়ে যায়। ফলে ব্যথা, লালভাব এবং দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।
৪. কেরাটাইটিস
নির্দিষ্ট ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে এই সমস্যা হয়।
সমাধানে যা করবেন
১. ত্রিফলা পানি দিয়ে চোখ ধুতে পারেন। এটি একটি আয়ুর্বেদিক কৌশল। এটি দিয়ে চোখ ধুলে জ্বালাভাব প্রশমিত হয়। এর জন্য ত্রিফলার গুঁড়া সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে ছেঁকে নিয়ে সেই পানি চোখ ধোয়ার জন্য ব্যবহার করুন।
২. সংক্রমণের ধরনের ওপর নির্ভর করে, ঠাণ্ডা বা গরম স্পঞ্জিং উপশম করতে পারে। ভাইরাল এবং অ্যালার্জিক কনজাঙ্কটিভাইটিসের জন্য কার্যকর গরম স্পঞ্জিং। চুলকানি, লালভাব এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে ঠাণ্ডা স্পঞ্জিং। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই কাজটি করা উচিত।
৩. চোখের লালভাব কমাতে খুব অল্প খাঁটি ঘি নিন। তারপর চোখের চারপাশে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এটা চোখের সংক্রমণের চিকিৎসায় ঘরোয়া একটি প্রতিকার।
এস