সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চিকিৎসক না হয়েও চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন শফিউল্লাহ প্রধান। নিজেই গড়েন ডিপিআরসি নামে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। ফিজিওথেরাপিস্ট হয়েও দিয়ে আসছিলেন নিয়মিত চিকিৎসা। আবার, রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা না থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার করে নিয়মিত তা করে আসছিলেন তিনি।
এমন অপচিকিৎসার শিকার হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযোগ দেন একাধিক ভুক্তভোগী। যা আমলে নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি টিম এ অভিযানে অংশ নেয়। অন্যান্য সদস্যের মধ্যে ছিলেন- উপপরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনান, সহকারী পরিচালক ডা. মো. বিল্লাল হোসেন, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সালেহিসহ আরও তিন অতিরিক্ত পরিচালক।
তিন ঘণ্টার বেশি অভিযানে বের হয়ে আসে নানা অনিয়মের চিত্র।
অভিযানে অংশ নেওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ফিজিওথেরাপিস্ট শফিউল্লাহ চিকিৎসক না হয়েও চিকিৎসকের পরিচয় ও চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। নিজের নামের পাশে সহযোগী অধ্যাপক পদ ব্যবহার করতেন। তবে এর সাপেক্ষে বিএমডিসির কোনো অনুমোদনপত্র দেখাতে পারেননি। উম্মুক্ত থেকে করা বিভিন্ন ডিগ্রির সনদ দেখালেও সেগুলো দিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি বিভিন্ন চিকিৎসকের অজান্তেই তাদের নাম ব্যবহার করে রোগী ভর্তি করানো হচ্ছিল। এছাড়া আবার ২০ শয্যার কথা বলেও তার চেয়েও অনেক বেশি পাওয়া গেছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া অধিদপ্তরের মেডিকেল অফিসার ডা. সালেহিন বলেন, এমবিবিএস না করে এমনকি বিএমডিসির অনুমোদন ছাড়া নিজের নামে পাশে চিকিৎসক পদ ব্যবহার করে আসছেন শফিউল্লাহ নামের ওই ব্যক্তি। এমনকি চিকিৎসা দিচ্ছেন। যা গুরুতর অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার বাইরে সারাদেশে অভিযান চলমান রয়েছে। এটি আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। ঢাকার বাইরে জোরালোভাবে হলেও লোকবল সংকটসহ নানা কারণে গতবারের মতো একযোগে করা যাচ্ছে না। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কারও অভিযোগ পেলেই আমরা যাচ্ছি।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ আসছে। তাই, তাদের বিরুদ্ধে আবারও ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে অভিযানে নামার ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জেডএ