সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
লম্বা সময় ধরে রাজ-পরী একসঙ্গে থাকছেন না। সম্প্রতি মনোমালিন্য ভুলে এক হন তারা। আর তার একদিন পরই রক্তাক্ত ও অসুস্থ হয়ে রাজ-পরী হাসপাতালে ভর্তির খবর ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ ধারণা করছেন রাজ-পরী মারামারি করে অসুস্থ হয়েছেন। রাজ-পরীর দাম্পত্য কলহের মধ্যে অনেকেই আবার তমা মির্জাকে টেনে আনছেন। কারণ তিনিও হাসপাতালে ভর্তি।
তারা মনে করছেন রাজ-পরীর মারামারির মধ্যে তমা মির্জাও আহত হয়েছেন! অবশ্য আসল ঘটনা এখনও অজানা। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে অধরা রয়েছেন রাজ-পরী।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন গল্পের তৃতীয় ব্যক্তি তমা মির্জা।
তমার ভাষ্যমতে, আমার বক্তব্য স্পষ্ট, রাজ-পরীর মারামারির যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেটার আশেপাশেও আমি ছিলাম না। ইভেন ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজ-পরী বাসা থেকে বেরিয়ে আমাকে ফোন করেছে দেখা করার জন্য। আমি বলেছি, আমার জ্বর। আজ দেখা হবে না। এরপর পরী বলে, ওকে বাসায় রেস্ট নাও। কাল দেখতে আসব। এরই মধ্যে কী হলো, আমি আর জানি না।
পরী-তমার হাতে ক্যানোলা পরা ছবি পোস্ট করা প্রসঙ্গে তমা মির্জা বলেন, ১৮ আগস্ট সন্ধ্যার পর জ্বরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমি ১০টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হই। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সবাই জানেন, আমার অ্যাজমাটিক প্রবলেম রয়েছে। কিডনিতেও সমস্যা রয়েছে। ফলে শরীরে যাই হোক, তখন এগুলো জেগে ওঠে। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমি ওষুধ খেয়ে অচেতন অবস্থা। হঠাৎ আম্মু ডেকে উঠিয়ে বললো, পরী এসেছে। উঠে দেখি, পরী হুইল চেয়ারে, সঙ্গে রাজ্য-চয়নিকা বৌদি, নাচের দুই ছেলেসহ বেশ কজন আমার কেবিনে। পরী বললো, ওর জ্বর এসেছে। তাই চলে এসেছে। এরপর কাশতে কাশতে গল্প করলাম, সেটাই শেষ।
এ অভিনেত্রী বলেন, পরী আমাকে এ বিষয়ে কিছুই শেয়ার করেনি। হতে পারে আমার শরীর খুবই খারাপ, তাই। হতে পারে, বলার মতো কিছুই ঘটেনি। তবে আমি পরীকে যতটুকু এখন দেখছি, সে তার রাজ্য ছাড়া পৃথিবীর আর কিছুর সঙ্গে নেই।
এদিকে রাজের রক্তা রক্তির ঘটনার পেছনের গল্প কী তা পরিষ্কার করেননি রাজ কিংবা তার ঘনিষ্ঠজনরা। আর রাজ কোথায় আছেন কিংবা কীভাবে হলো রক্তারক্তি তার কিছুই জানেন না পরীমণি।
জেডএ