সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
অবশেষে মুখ খুললেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী ও তৃণমূলের সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন।
২০১৪ সালে ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলু এঁটেছিলেন নুসরাত জাহান।
বুধবার (২ আগস্ট) কলকাতা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।
এ সময় নুসরাত জাহান বলেন, ‘গতকাল থেকে নানা খবর দেখানো হচ্ছে। কাল জবাব দিতে পারিনি। কারণ শুটিংয়ে ছিলাম। যারা ভুল করে, তাদের ভয় থাকে, তারা ব্যাখ্যা দেয় না। আমার মনে কোনো ভয় নেই। তাই আমি সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছি। যে কেস কোর্টে পেন্ডিং আছে, সেই বিচারাধীন বিষয়ে ঢোকা ঠিক নয়। বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করাও ঠিক নয়।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে বসিরহাটের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মিডিয়ায় অনেক গল্প এসেছে। সেভেন সেন্স ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি থেকে ২০১৭ সালে পদত্যাগ করেছি। এ কোম্পানি থেকে ১ কোটি ১৮ লাখ রুপি ঋণ নিয়েছিলাম, সেটা সুদসহ ফেরত দিয়েছি। সব তথ্য আমার কাছে আছে।’
দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে নুসরাত বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি কোনোদিন এসব কাজ করিনি। কোনোদিন যুক্ত ছিলাম না। ৩০০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করতে পারি, আমি এই দুর্নীতিতে যুক্ত নই। সুদসহ ঋণের অর্থ ফেরত দিয়েছি। যদি কোনো ভুল দেখাতে পারেন আপনারা যা বলবেন তাই হবে! আমি কোনো কিছুতে জড়িত নই। এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই রাজনীতি জড়াবেন না। একটা পয়সা নিলেও আপনাদের সামনে দাঁড়াতাম না।’
জানা গেছে, সেভেন সেন্স ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত অনেক কর্মী টাকা জমা করেছিলেন ফ্ল্যাট পাওয়ার জন্য। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন ৭-৮ জন। তাদের মধ্যে অন্যতম রাকেশ সিং। তারপরই উঠে আসে নুসরাত জাহানের নাম। যাদের নামে এরই মধ্যে আদালতে মামলা চলছে।
এম