সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনে জুয়া খেলা একেবারেই নিষিদ্ধ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন জুয়ার বিস্তার উদ্বেগকজনক হারে বাড়ছে। এরকমই একটি বেটিং অ্যাপের প্রচারে নেমেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
একটি অনলাইন জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন মাহি। ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এমন সাইটের বিজ্ঞাপন ও শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নাম জড়িয়েছে জয়া আহসান, অপু বিশ্বাস ও নুসরাত ফারিয়ার। এর মধ্যে জয়া ও ফারিয়াকে শুধু বিজ্ঞাপনে পাওয়া গেলেও অপু কাজ করছেন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে! আর তাদের বেশির ভাগেরই দাবি, ভুল তথ্যে তারা এগুলোতে জড়িয়ে পড়েছেন। তবে ধারণা করা যায়, মাহি সব জেনে-বুঝেই জুয়ার কোম্পানির প্রচার করছেন।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদে নৈতিকতা রক্ষায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১৮৬৭ সাল থেকে চালু প্রকাশ্য জুয়া আইন অনুসারে, কেউ টাকার বিনিময়ে বাজি বা জুয়ার আসর বসালে এবং কেউ তাতে অংশ নিলে তা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং প্রচলিত আইন অনুসারে সব ধরনের জুয়া বাংলাদেশে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
এ ধরনের নিষিদ্ধ বেটিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হওয়ায় মাহির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনিসহ যেসব তারকারা এগুলোর প্রচার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা—সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এদিকে সময়টা ভালো যাচ্ছে না মাহির। হাতে নেই সিনেমা। নির্বাচনে হেরেছেন। দ্বিতীয় সংসার ভেঙেছে। তবে নিজেকে ফিরে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জিমে গিয়ে নিজেকে ফিট রাখছেন। নতুনভাবে নিজেকে দর্শকের সামনে হাজির করতে চাইছেন। সম্প্রতি একটি ফটোশুটে অংশ নিয়ে মাত্র এক মিনিটের নাচের ভিডিও নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি। যা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে অনলাইন দুনিয়ায়।
এস