সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে ‘খুফিয়া’ নামের একটি ওয়েব ফিল্ম বানিয়েছেন বলিউড পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ। এতে অভিনয় করেছেন আজমেরি হক বাঁধন। গেল ৫ অক্টোবর নেটফ্লিক্সে অবমুক্ত হয়েছে। এরপর থেকে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
ওয়েব ফিল্মটিতে বাঁধনের চরিত্রের দৈর্ঘ্য কম। তবে নিজ দেশকে খারাপভাবে উপস্থাপন করা একটি ছবিতে তিনি কীভাবে অভিনয় করেছেন— সেটা ভেবে অবাক হচ্ছেন দর্শক। তাই এ অভিনেত্রীর দেশপ্রেম নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও তার অভিনয় হয়েছে প্রশংসিত।
গোয়েন্দা-থ্রিলার এই ছবিতে বাঁধনের চরিত্রের নাম হেনা ওরফে অক্টোপাস। সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত থাকে। এ ছাড়া তাকে সমকামী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ছবিতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এতে বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে হয়েছে। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এটা দর্শক কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।
প্রথমে এই ওয়েব ফিল্মে বাঁধনের চরিত্রটির জন্য প্রস্তাব গিয়েছিল মেহজাবীন চৌধুরীর কাছে। এর কাহিনিতে বাংলাদেশে বিরোধী বিষয় থাকায় অভিনয় করেননি।
তখন মেহজাবীন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, “বলিউডের গুণী পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। শুরুতে বিশ্বাস না হলেও পরে বুঝতে পারি, তারা গল্পের প্রয়োজনেই বাংলাদেশের কোনও অভিনেত্রীকে খুঁজছেন। এরপর পুরো গল্পের সিনপসিস দেখতে চাই। বিস্তারিত জানার পর কাজটি ‘না’ করে দিই। কারণ, আমার কাছে মনে হলো, চলচ্চিত্র হিসেবে এটি বিতর্কিত কিছু হবে। চাইনি, জীবনের প্রথম চলচ্চিত্রে এমন ভুল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্ত হতে।’’
এরপর বিশাল ভরদ্বাজের কাস্টিং ডিরেক্টর বিদ্যা সিনহা মীমের দরজায় কড়া নাড়েন। তিনিও একই কারণে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর মীম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমার দেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হবে, আর আমি সেটাই অভিনয় করব? আমার দ্বারা কখনও সম্ভব হবে না এটি। আমাদের সবার মধ্যেই দেশপ্রেম থাকা উচিত।’
মেহজাবীন-মীমের সাড়া না পেয়ে অবশেষে বাঁধনের কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। শোবিজ থেকে হারিয়ে যেতে বসা এ অভিনেত্রী তখন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার মাধ্যমে নিজেকে খানিকটা ফিরে পেয়েছিলেন।
বলিউড থেকে প্রস্তাব পেয়ে লুফে নিতে ভুল করেননি বাঁধন। বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হবে জেনেও তাতে তোয়াক্কা করেননি তিনি। বরং দেশের সম্মানের চেয়ে নিজের ক্যারিয়ারকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন এ অভিনেত্রী।
বলিউডের এই ওয়েব ফিল্মের মাধ্যমে বাঁধন নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিজ দেশকে ছোট করা সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়ে তার ক্যারিয়ার কতটা ডানা মেলে ওড়ে— সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরএসও