সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) মূল ফটকের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ইউল্যাবের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে অসম্মান এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা ইউল্যাব উপাচার্যের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ চাইছেন। উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা অনশন করছেন।
অন্য দাবিগুলো হলো— ফ্যাসিবাদের দোসর ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে, ডিসিপ্লিনারি কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বডির সবাইকে ছাত্রবিরোধী সিদ্ধান্তের দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে, শিক্ষার্থীসহ সব অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে ইউল্যাবের কোড অব কনডাক্ট যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে ও মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশ ও ব্যক্তিস্বাধীনতাকে হরণ করে—এমন সব কালাকানুন ইউল্যাবের বিধিবিধান থেকে বিলোপ করতে হবে।
এদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য-ইউল্যাব এর এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘দুইজন শিক্ষার্থী সকাল থেকে এখনো আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতটা নির্লজ্জ হলে এখন পর্যন্ত কোনো রেসপন্স না করতে পারে। এই দুইজন শিক্ষার্থীর কিছু হলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আর ভিসির পা চাটা দালালরা দায়ী থাকবে। অবিলম্বে ভিসির পদত্যাগ করতে হবে, এই মুহূর্তেই।’
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ইউল্যাব প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবিকে উপেক্ষা করে ‘ফ্যাসিবাদী’ আচরণ বজায় রেখেছে। উপাচার্যের নেতৃত্বে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি, গ্রাফিতি আঁকার কারণে শিক্ষার্থীদের শাস্তি প্রদান ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ বিনষ্ট করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল (১ জানুয়ারি) একই দাবিতে ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ইউল্যাব প্রাঙ্গণে গ্রাফিতি আঁকায় দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে অবশ্য তা প্রত্যাহার করা হয় বলে জানা যায়। এই ঘটনার জেরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।
অ