সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বরিশালে মোটরসাইকেল আটক করে লাইসেন্স চাওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টসহ চার সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ট্রাফিক সার্জেন্ট মনিরুল হাসান, কনস্টেবল মো. মোস্তফা ছাড়াও আরও দুই জন আহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। আটককৃতরা হলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম, আলভী ও সোহাগ।
ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মনিরুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হয়। এরপর চালকের কাছে গাড়ির এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স চাওয়া হয়। একইসঙ্গে হেলমেট না পরার কারণ জানতে চাইলে তারা ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে নিজেদের ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ট্রাফিক পুলিশ আরও বলেন, কিছুক্ষণ পর আরও কয়েকজনকে নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা চালান। আমার বডি ক্যামেরা ও ওয়্যারলেস ছিনিয়ে নেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে কনস্টেবল মোস্তফাকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়। হামলায় আমরা চার জন আহত হই। পরে ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে আমরা আটক করি।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানার ওসি এ.আর. মুকুল বলেন, বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নেতৃত্বে একটি টিম থানায় এসেছেন। আমরা আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, নগরীতে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করা ঠিক হয়নি শিক্ষার্থীদের। তাদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে। আলোচনা করে এ বিষয়টি আমরা সমাধান করব।
আরএ