সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সঙ্গে সম্পর্কিত লেনদেন নিষ্পত্তি না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল (ওএফএসি)। ভারতের সঙ্গে আকুর সদস্য দেশগুলোর লেনদেনের ভিন্ন মাধ্যম নেই। সে কারণে এ বিষয়ে ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) দ্বারস্থ হয়েছে ভারতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
আকুর সদস্যদেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ইরান, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
এ বিষয়ে ভারতের এক জ্যেষ্ঠ ব্যাংকার ইকোনমিক টাইমসকে বলেছেন, ‘আকুর প্রধান কার্যালয় যেখানে অবস্থিত, সেই বিষয় নিয়ে কিছু একটা ঘটেছে। আমাদের এমন ধারণা দেওয়া হয়েছে যে (ওএফএসি) যুক্তরাষ্ট্রের সব সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে অর্থ পরিশোধপ্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে বলেছে।’
আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা এসকাপের উদ্যোগে আকু গঠিত হয়। এর প্রধান কার্যালয় ইরানের রাজধানী তেহরানে।
ভারতের সঙ্গে আকুর সদস্যদেশগুলোর লেনদেনের ভিন্ন মাধ্যম নেই। সে কারণে ভারতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আরবিআইয়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। তারা এই সমস্যার সমাধান চায়।
ভারতের সমস্যা হলো দেশটি আকুর সদস্যদেশগুলোতে যত পণ্য রপ্তানি করে, তাদের কাছ থেকে আমদানি করে কম। সে কারণে ভারতের বড় অঙ্কের অর্থ আটকা পড়ে গেছে। ২০২০ সালে আকুর মাধ্যমে ভারতের লেনদেন হয়েছে ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৮৪০ কোটি ডলার।
এ বাস্তবতায় ২০২২ সালে আরবিআইয়ের এক প্রতিবেদনে ভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারা রুপির আন্তর্জাতিকীকরণের অংশ হিসেবে আকুর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনের পরামর্শ দেয়।
ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা ইকোনমিক টাইমসকে জানিয়েছেন, আকু ইতিমধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনের দিকে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে একক মুদ্রার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে আকুর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। সে কারণে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ভবিষ্যতে প্রভাব ফেলবে না।’
এফএইচ