সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
আমদানি নির্ভর দেশ হওয়ায় বাংলাদেশকে বরাবরই বৈদেশিক মুদ্রার উপর নির্ভর থাকতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি ডলারের তুলনায় টাকার মান কমে আসায় বেশ বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। রিজার্ভের মূল উৎস রপ্তানি এবং প্রবাসী আয় চাহিদা অনুযায়ী না আসায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক সপ্তাহ কিছুটা বাড়ার পর আবার কমেছে। এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ২৯ কোটি ডলার ও নিট রিজার্ভ কমেছে ২৬ কোটি ডলার।
দেশের বকেয়া বৈদেশিক ঋণ ও আমদানির দেনা পরিশোধ করতে রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। ফলে ডলারের বাজারে চাপ বাড়ছে। এতে বেড়ে যাচ্ছে ডলারের দাম। এ কারণে আমদানি পণ্যের দাম বাড়ছে। এর প্রভাবে বাড়ছে অন্যান্য পণ্যের দাম। মূল্যস্ফীতির হারও বেড়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, ১৫ সেপ্টেম্বর দিনের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে তা ২ হাজার ৭৩৪ কোটি ডলারে নেমে আসে।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ২৯ কোটি ডলার। ১৫ সেপ্টেম্বর নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৭১ কোটি ডলার।
এদিকে ডলার সাশ্রয় করতে আমদানি ব্যয় বেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। এতে মাসিক আমদানি ব্যয় ৪৫০ কোটি ডলারে নেমে এসেছিল। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ৮৫০ কোটি ডলার আমদানি ব্যয় হয়েছে। বর্তমানে আমদানি ব্যয় বেড়ে প্রতি গড়ে ৬৫০ কোটি ডলার খরচ হচ্ছে।
এ হিসাবে বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী একটি দেশের কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকলে তাকে নিরাপদ ধরা হয়।
তবে খাদ্য আমদানি করলে বা বৈশ্বিক বা অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি থাকলে আরও বেশি রিজার্ভ রাখতে হবে। বর্তমানে দেশ খাদ্য আমদানি করে এবং বৈশ্বিক ও দেশিয়ভাবে অর্থনীতিতে নানা ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে রিজার্ভ তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের চেয়ে বেশি রাখতে হবে।
এদিকে ৭ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ ১৩১ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলারের ঘর থেকে নেমে আসে ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। ওই সময়ে রিজার্ভ দাঁড়ায় ২ হাজার ১৪৮ কোটি ডলার। পরে গত সপ্তাহে তা বেড়ে ২ হাজার ১৭১ কোটি ডলারে ওঠে। এখন আবার কমেছে।
ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয় মেটাতে প্রতিদিনই হিমশিম খাচ্ছে। ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ডলার দিতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে বাজার থেকেও ডলার সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। কারণ রেমিট্যান্স ও রপ্তানি কম হওয়ায় ডলারের প্রবাহ কমে গেছে।
আরএ