সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ধামরাইয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত রবিউল ইসলাম (৩০)। সন্ধ্যার দিকে রিক্সায় করে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে স্থানীয় একজনের মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এই দ্বন্দ্বের জেরে রবিউলকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে জীবিত অবস্থাতেই বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে দেয় আসামিরা।
ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া এলাকার পুকুর থেকে রবিউলকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে একটি চলন্ত মাইক্রোবাস থেকে বস্তাটি সড়কের পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেন রবিউলের বোন ফারজানা আক্তার ঝিলিক। এ মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ৪ জন হলেন—আলম ভূঁইয়া (৫৫), সেলিম ভূঁইয়া (৩৮), আজহার ভূঁইয়া (৩২) ও ফারুক ভূঁইয়া (৩৫)।
ঝিলিক জানান, তার ভাই পোশাক কারখানায় সাব-কন্টাক্ট্রর হিসেবে কাজ করত। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রবিউলকে জোরপূর্বক তুলে নেয় মামলার আসামিরা। পরে তাকে আলম ভূঁইয়ার বাড়িতে নিয়ে মারধর করে। এরপর বস্তাবন্দি করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ধামরাই থানার ভাড়ারিয়া এলাকার একটি পুকুরে ফেলে হত্যা করে।
ভাইয়ের নির্মম হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান বোন ফারজানা আক্তার ঝিলিক।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুলাই সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় একটি সড়কে রবিউল রিকশায় যাওয়ার সময় আলম ভূঁইয়ার ছেলে ইশতিয়াকের মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। ওই ঘটনায় তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে রবিউলের পরিচিত স্থানীয় হুরমুজ আলীর ছেলে সোহাগ রবিউলের পক্ষ নিয়ে ইশতিয়াককে চড়-থাপ্পড় দেন। এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাত ৯টার দিকে সোহাগ ও ভূঁইয়া পরিবারের মধ্য কয়েক দফায় মারামারি হয়।
ওই ঘটনায় সোহাগকে প্রধান ও রবিউলকে দ্বিতীয় আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলাও করে ভূঁইয়া পরিবার। এসব ঘটনার জেরেই তারা রবিউলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, 'হত্যাকারীরা গতকাল (সোমবার) সকালে রাস্তা থেকে প্রথমে তুলে নিয়ে যায় রবিউলকে। পরে তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। মুমূর্ষু অবস্থায় পরবর্তীতে তাকে একটি বস্তায় ভরে একটি গাড়িতে তুলে ধামরাইয়ে মহাসড়কের পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয়। তখনো রবিউল জীবিত ছিল। পরে স্থানীয়রা পুকুর থেকে রবিউলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।'
এফএইচ