সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শেখ হাসিনার পতনের পর একে একে সামনে আসছে তার সরকারের মন্ত্রী, আমলা ও সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খবর। তেমনি একজক দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
১২ আগস্ট এই পুলিশ কর্মকর্তার অনিয়মের ফিরিস্তি নিয়ে এক প্রতিবেদশ প্রকাশিত হয় দেশটিভিতে। এরপর জানা যায়, তার আরও নানা অপকর্মের তথ্য। সেসব তথ্য নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে প্রলয় কুমার জোয়ারদারের অনিয়মের দ্বিতীয় কিস্তি।
দেশটিভির অনুসন্ধানে জানা যায়, দুর্নীতিবাজ এই পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম জীবনে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআইতে ডিএডি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ হওয়ায় তাকে এনএসআই থেকে চারিচ্যুত করা হয়।
এনএসআই থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর বেশ কিছুদিন বেকার জীবন পার করেন প্রলয় কুমার জোয়ারদার। এরপর ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে ২০০৫ সালে বিসিএসে গ্রেজেটভুক্ত হলেও যোগদান করতে পারেনি। পরে নানা কৌশলে তিনি পুলিশে যোগদান করেন। সরকারি চাকরির নিয়ম অনুসারে কেউ যদি সরকারি চাকরি থেকে চাকরিচ্যুত হন তাহলে তিনি আর কোনো সরকারি সংস্থায় যোগ দিতে পারবেন না। তারপরও প্রলয় কুমার জোয়ারদার পুলিশ একডেমিতে যোগ দেন।
এখানেই শেষ নই, নিয়ম অনুসারে পুলিশ কর্মকর্তাদের এক বছরের প্রশিক্ষন করার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি প্রলয়ের ক্ষেত্রে। প্রশিক্ষন শেষ না করেই দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তা সরাসরি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান।
শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবে ভালো করায় এএসপি, এডি ও এসপি হিসেবে চাকরি না করেই সরাসরি পিএইচকিইয়ের এআইজি প্লানিং এন্ড রিসার্চ পদে যোগদান করেন। সেখান থেকে কয়েকশ অফিসারকে ডিঙিয়ে পদোন্নতি পেয়ে কিছুদিন পুলিশ হেডকোর্য়াটরে ছিলেন। এরপর ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে ডিসি হিসেবে যোগদান করেন। মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে জঙ্গি নাটকেও তিনি সক্রিয় ছিলেন।
এরপর তিনি নরসীংদির পুলিশ সুপার-এসপি হিসেবে যোগদান করেন। মাঠ পর্যায়ে চাকরি না করলেও তিনি অনিয়ম করে পুলিশ সুপার হন। এরপর তিনি যশোরের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে থাকাকালীন চোরাচালান কারবারীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তার। চোরা কারবারিদের থেকে পেতের বিপুল চাঁদা।
এসময়ই তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে যশোর-৬ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের। মাফিয়া হিসেবে পরিচিত শাহীন চাকলাদার ও প্ররল কুমার জোয়ারদার মিলে যশোরে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। ভারতে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল।
দীর্ঘদিন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করায় অবৈধ পথে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন প্রলয় কুমার জোয়ারদার। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ঠিকাদারের কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছিলেন। জানা যায়, রাজধানীর উত্তরায় ৭ তলা বাড়ি রয়েছে এই কর্মকর্তার। এছাড়াও ভারতের পশ্চিবঙ্গের সল্টলেকেও তার বাড়ি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কে