সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শেখ হাসিনার পতনের পর তার সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও এমপিদের একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে। শুধু মন্ত্রী এমপিই না তাদের পরিবারের অনেক সদস্যদেরও দুর্নীতির কথা সামনে আসছে। এবার সামনে আসল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে শাফি মোদাচ্ছের খান জ্যোতির দুর্নীতির খবর।
আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছেন।
জানা যায়, শাফি মোদাচ্ছেরকে মেসার্স তিতাস বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নামে একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বানিয়ে রাখে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই প্রতিষ্ঠানের নামেই চলত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি। টেকনাফের মিঠাপানির ছড়া ১নং প্লটে ৫ দশমিক ৫০৬৪ একর জমি কেনা হয়। তাছাড়া লেঙ্গুরবিল মৌজায় একই কোম্পানির নামে লম্বরি ২নং পর্টে কোম্পানির নামে কেনা জমির মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা।
দুর্নীতিগ্রস্ত আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার ছেলে শাফি মোদাচ্ছেরের লুটপাট হাসিনা সরকারের আমলে চরম পর্যায়ে পৌছায়। যার বড় উদাহরণ নির্বাচন কমিশনের অমুছনীয় কালি কেনার দুর্নীতির সঙ্গে শাফি মোদাচ্ছেরের নাম থাকায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অমুছনীয় কালি কিনতে শুধু ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যায় করে শাফি মোদাচ্ছের সিন্ডিকেট। এছাড়া আরও ৬ কোটি টাকার অমুছনীয় কালি কেনে নির্বাচন কমিশন। যার টেন্ডার বাগিয়ে নেয় শাফি ও নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গির আলমের আত্মীয়ের যৌথ সিন্ডিকেট।
আরও জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের অমুছনীয় কালি কেনার টেন্ডার বাগিয়ে নিতেও দুর্নীতির আশ্রয় নেয় শাফি মোদাচ্ছের ও তার সিন্ডিকেট। সেসময় দেশের শীর্ষ এক গণমাধ্যম এই নিয়ে প্রতিবেদন করে। শাফি মোদাচ্ছেরের নাম উল্লেখ না করলেও গণমাধ্যমটি সরকারের প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর ছেলের কথা বলা হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, যেখানে সর্বোনিম্ন দরদাতা নেন্ডার পায় সেখানে সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ার পরও কালি কেনার কাজটি পায় শাফি ও তার সিন্ডকেট। পরে সর্বোনিন্ম দরদাতা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ না পওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্যটি ফাঁস করে দেয়।
শুধু এসবই না সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাফি মোদাচ্ছেরের দুর্নীতির ফিরিস্তি যেন শেষ হবার নই।
জানা যায়, রাজধানীর পুরো ধানমন্ডি এলাকায় ছিল তার একচ্ছত্র আধিপত্য। ধানমন্ডি এলাকা বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের জন্য বিখ্যাত। আর এসব রেস্টুরেন্ট দেওয়ার জন্য শাফি মোদাচ্ছেরকে দিতে হতো ১ থেকে ২ কোটি টাকা। টাকা দিলে কোনো রকম যাচা-বাছাই ছাড়াই মিলত লাইসেন্স। আর লাইসেন্স করতে বাবার প্রভাব খাতাতেন শাফি। শুধু তাই না এসব রেস্টুরেন্ট থেকে যেসব চাঁদা নেয়া হতো তাও একহাতে সামলাতেন শাফি মোদাচ্ছের।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে শুধু রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকেই প্রতিদিন দেড় কোটি টাকার চাঁদা তোলা হত। ফুটপাতে ব্যবসা, বাজার, মাদক ব্যাবসায়ী ও আবাসিক হোটেল থেকে উঠানো হতো এসব চাঁদা। এ টাকা মন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল মন্ত্রীর এপিএস মনির হোসেনসহ আরও দুইজনকে। এই টাকার মোটা অংশ পেতেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। পাশাপাশি এই টাকার একটা ভাগ পেতেন তার ছেলে শাফি মোদাচ্ছেরও।
এছাড়াও, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীতে যেসব নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য হতো তার মোটা অংকের ভাগ পেতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর এসব একহাতে নিয়ন্ত্রণ করতেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস মনির। তিনি একটা অংশ সাবেক মন্ত্রী ছেলে শাফি মোদাচ্ছেরকেও দিতেন।
কে