সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ছিলেন মুদি দোকানদার, এখন শত কোটি টাকার মালিক। এমন নাটকীয় উত্থান ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিকের। ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ, টেন্ডারবাজি এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন তিনি। রাজধানী ঢাকার বেইলি রোড, বিজয়নগর, কদমতলি এবং নিজ জেলা চাদপুরেও নামে বেনামে সম্পদ গড়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়া অভিযোগ এবং দেশ টিভির অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
চাঁদপুরের মতলব উপজেলার কালী বাজারের আকাশ কুমার ভৌমিকের সংসার চলত মুদি দোকানের আয়ে। তবে কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি এখন শত কোটি টাকার মালিক। অভিযোগ আছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালেয় সাবেক এক মন্ত্রীর সান্নিধ্যে থেকে দ্রুত আকাশের উত্থান ঘটে। সেই মন্ত্রীর সহায়তায় তিনি এখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্রোপরেশনের ৫৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও।
আকাশ কুমার, মন্ত্রীর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হয়ে যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী ঠিকাদার। এরপর টিআর, কাবিখা, ব্রিজ-কার্লভার্ট, সাইক্লোন সেন্টার অনুমোদন করিয়ে পরে তা বরাদ্দ দিতে মোটা অংকের টাকা কমিশন নিতেন। এসব কাজ করার জন্য তিনি কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে একটি চক্র গড়ে তোলেন।
দুদকের জমা পড়া অভিযোগে আরও বলা হয়, আকাশ কুমার টিআর, কাবিখা বরাদ্দ দিতে ৭০০০ থেকে ১০০০০ হাজার, ব্রিজ বরাদ্দে ২ থেকে ৫ লাখ, কার্লভার্ট বরাদ্দে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ, সাইক্লোন সেন্টার বরাদ্দে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন।
তথ্য বলছে আকাশের বেইলি রোডের জারা টাওয়ারে ডুপ্লেক্স ফ্লাট, একই এলাকার নাভানা স্টার শপিংয়ে দুটি ফ্লাট, এবং বেইলি রোডের ১৮ নম্বর ভবনে বিলাসবহল ফ্লাট রয়েছে। রাজধানীর বিজয় নগর এলাকায় আকরাম টাওয়ারে আরও দুটি ফ্লাট এবং ৫৯ নং ওয়ার্ডে তার দুটি বাড়ি রয়েছে।
গ্রামের বাড়িতে রয়েছে প্রায় ১০০ বিঘা জমি এ ছাড়া নিজের স্ত্রী-সন্তানের নামে রয়েছে মোটা অংকের টাকা। তবে এলাকায় তিনি দানশীল হিসেবে পরিচিত।
এসব বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আকাশ কুমারকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি এমনকি ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি।
টিআইবি বলছে এমপি- মন্ত্রীদের সহায়তায় অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী ব্যক্তিরা জনপ্রতিনিধি হলে জনগণ তাদের কাছ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্ছিত হবে।
অর্থ আত্নসাৎ এবং দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এসব ব্যক্তির বিচার না হওয়ায় বাড়ছে দুর্নীতি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করেন টিআইবি নির্বাহী।
এফএইচ