সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কক্সবাজারে হোটেলে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিনকে নির্মমভাবে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।
নিজের ওপর যৌন নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে আশরাফুল ইসলাম (২০) নামে এক যুবক সাইফুদ্দিনকে হত্যা করেন। এর আগে সোমবার (২১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে টেকনাফ হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির চেকপোস্টে একটি বাস থেকে আশরাফুল আটক করা হয়।
আশরাফুল কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী ইসলামপুর এলাকার মোহাম্মদ হাশেম মাঝির ছেলে। তিনি ওই এলাকার ওয়ামি একাডেমি নামে একটি মাদারাসার ছাত্র।
নিহত সাইফুদ্দিন কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার আবুল বশরের ছেলে। তিনি কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং কাদেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল সানমুনের ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে দুই হাত বাঁধা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে সাদা পাঞ্জাবি ও মাস্ক পরিহিত এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে হোটেলটিতে গিয়েছিলেন তিনি। রাত ৮টা ১০ মিনিটের পর ওই যুবক চলে যান। হোটেলটির সিসিটিভি ফুটেজে বিষয়টি দেখা গেছে।
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় হয় আশরাফুলের। রোববার বিকেলে দেশীয় মদ ও পেয়ারা কিনে হলিডে মোড়ের হোটেল সানমুনে ওঠেন তারা। সেখানে দেশীয় মদ ও পেয়ারা খাইয়ে আশরাফুলকে যৌন নির্যাতন করেন সাইফুদ্দিন। সেই দৃশ্য নিজের মোবাইল ফোনে ধারণও করেন আওয়ামী লীগ। পরে মোটরসাইকেলে করে তাকে গোলদিঘির পাড়ে নামিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে চলে যেতে বলেন।
এর এক ঘণ্টা পর আশরাফুলকে আবারও ফোন করে হোটেলে ডাকেন আশরাফুল। সেখানে আবারও তাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেন সাইফুদ্দিন। তখন যৌন নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং পরে ছুরিকাঘাতে সাইফুদ্দিনকে হত্যা করেন আশরাফুল।
এইউ