সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নরসিংদীতে মশার ওষুধের বিষক্রিয়ায় স্কুল চলাকালে ১০ শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তাদের ক্লাসরুমে আটকে রাখা হয়। শিক্ষার্থীরা হইচই শুরু করলে পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অক্সিজেন দেওয়া হয়।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে নরসিংদী বালিকা উচ্চ বিদ্যা নিকেতন স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা হলো সপ্তম শ্রেণির জান্নাত, আয়েশা, তুবা ও ষষ্ঠ শ্রেণির আলতা, তামান্না, সোহানা, হামিদা, সাইদা, নুসরাত ও মুক্তা।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নরসিংদীতে ডেঙ্গু আত্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ফলে মশক নিধন কার্যক্রম হাতে নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে আজ দুপুরে নরসিংদী বালিকা উচ্চ বিদ্যা নিকেতন, মহিলা কলেজ ও শিউলিবাগ বিদ্যাপীঠ স্কুল প্রাঙ্গণে মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হয়। ওইসময় নরসিংদী বালিকা উচ্চ বিদ্যা নিকেতনে ক্লাস চলছিল। ওষুধ ছিটানোর কিছুক্ষণ পর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির অন্তত ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যখন তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাদের ক্লাসের বাইরে বের হতে নিষেধ করেন। এতে ছাত্রীরা হইচই শুরু করে দেয়। এরই মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
অসুস্থ হয়ে পড়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তুবা বলে, ‘স্কুল চলাকালীন স্কুলের ভেতর মশা মারার ওষুধ দেওয়া হয়। ওষুধ দেওয়ার পর পরই আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তখন স্যার আমাদের স্কুলের জানালা খুলে দিতে বলেন। আমরা বাইরে বের হতে চাইলে আমাদের ক্লাস থেকে বের হতে দিচ্ছিলেন না। পরে চিৎকার- চেঁচামেচি শুরু করলে অসুস্থ ছাত্রীদের হাসপাতালে আনা হয়।’
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিপাশা মাসুদ বলেন, মশার ওষুধের বিষক্রিয়ায় শ্রেণিকক্ষে থাকা ছাত্রীরা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি ঘোষ বলেন, মশা মারার ওষুধ দেওয়ার বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা আমাদের পৌরসভা থেকে অবহিত করা হয়নি। তবে এখন সব শিক্ষার্থী ভালো এবং সুস্থ আছে। সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে।
অসুস্থ হয়ে পড়ার পরও শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আটকে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রীদের আটকে রাখা হয়নি। মশার ওষুধ ছিটানোর কারণে তাদের যেন তীব্র শ্বাসকষ্ট না হয় সেজন্য ক্লারুমের ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে।
নরসিংদী পৌরমেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চু বলেন, শহরে এডিস মশার সংখ্যা বেড়ে গেছে। এজন্য মশা নিধনে আমরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ওষুধ ছিটানোর কাজ শুরু করেছি। তবে এ ওষুধে বিষক্রিয়া হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। কেন বিষক্রিয়া হচ্ছে সেটা চিকিৎসকরা ভালো বলতে পারবে।
জেবি