সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের পর বুধবার (১৬ আগস্ট) থেকে জেলাজুড়ে ওষুধ বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। অন্যদিকে, হামলায় জড়িত ওষুধ ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন খুমেক ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, ঘটনার পর সোমবার রাত থেকে কেবল খুমেক হাসপাতালের সামনের ওষুধের দোকানগুলো বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে সভা ডেকে আজ থেকে খুলনা জেলাব্যাপী সব ওষুধের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও জরুরি চিকিৎসা ছাড়া সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে খুমেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।
পক্ষান্তরে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্য মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, খুলনা জেলার বিভিন্ন শাখা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে সভা করে ওষুধ ব্যবসায়ীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত খুলনা জেলার সব ওষুধের দোকান আজ থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. নিয়াজ মোস্তাফি চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে আগত এবং ভর্তি রোগীদের যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য বাড়তি চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওষুধেরও কোনো সংকট নেই।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমতাজুল হক বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনাটি নিয়ে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল আজ উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে একটি সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে। তবে ওই ঘটনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেনি কেউ।
যদিও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতির দাবি করেন, হামলার ঘটনায় কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার মামলা করা হয়েছে।
ওষুধের দামে নির্ধারিত ছাড় না দেওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫-১৬ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, খুমেকের কে-৩২ ব্যাচের একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে হাসপাতালের সামনের একটি ওষুধের দোকান ওষুধের মূল্যে ১০ শতাংশ ছাড় না নেওয়ায় এ সংঘর্ষ বাঁধে।
জেবি