সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কুষ্টিয়ার খোকসা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেটকার থেকে চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যাত্রীর অপেক্ষায় নিজের আসনে ঘুমিয়ে থাকা চালক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের খোকসা বাসস্ট্যান্ড থেকে সামসুজ্জামান (৫৫) নামে ওই চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি নারায়ণগঞ্জ থানার পঞ্চপুটি গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে।
খোকসা থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ঢাকামুখী লেনে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো ছিল। স্থানীয় দালালরা ঢাকাগামী যাত্রী পেয়ে গাড়িটির ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা চালককে জাগানোর চেষ্টা করেন। দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর গাড়ির ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ সদস্যরাও অনেক সময় ধরে তাকে জাগানোর চেষ্টা করেন। অবশেষে সাড়া না পেয়ে স্থানীয় মেকানিক ডেকে গাড়ির দরজার তালা ভেঙে চালককে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই চালকের পকেটে পাওয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে তার নাম-ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়।
খোকসা বাসস্ট্যান্ডের একটি পরিবহনের কাউন্টার পরিচালক মিরাজ বিশ্বাস বলেন, প্রতিরাতেই ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে ভাড়া নিয়ে আসা চালকরা এখানে ঘুমান। সকালে এখান থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরেন। এই ভেবে সকালে স্থানীয়রা ওই ড্রাইভারকে জাগানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে গাড়ির দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত চালকের ছেলে বোরহান উদ্দিন জানান, সোমবার রাতে তার মায়ের সঙ্গে বাবার ফোনে যোগাযোগ হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তারা পুলিশের মাধ্যমে বাবার মৃত্যুর খবর পান। তিনি বলেন, যেহেতু গাড়ির দরজা বন্ধ ছিল, সেহেতু ধারণা করছি বাবা হৃদরোগে মারা যেতে পারেন। আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ ফেরত চাইলেও পুলিশ দেয়নি।
খোকসা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপুল কুমার ঘোষ বলেন, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চালককে উদ্ধার করেন। সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে তার পকেটে পাওয়া কাগজপত্র থেকে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। পরিবারের লোকেরা এসে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
জেবি