সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন ‘বিএনপি ভোট চুরি করেছিল বলেই নির্বাচনকে ভয় পায়। আসলে তারা গণতন্ত্রকে ভয় পায়, গণতান্ত্রিক ধারায় ক্ষমতায় যেতে চায় না। ভোটে জিতবে না বলেই তারা এমন কাউকে চায়, যারা নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।’
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু বাংলার জনগণ তা মেনে নেয়নি, তাকে টেনে-হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির দুই গুণ, ভোট চুরি আর মানুষ খুন। ২০১৪ সালে বিএনপি ক্ষমতায় না গিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তিন হাজারের বেশি মানুষ তখন আহত হয়েছে। ৫শ’র বেশি মানুষ মারা গেছে। অনেক গাড়িতে আগুন দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার দল কল্যাণে কাজ করে, দেশের জন্য কাজ করে। কিন্তু বিএনপির কাজ হলো মানুষ খুন করা, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে লুটপাট ও অর্থপাচার করা, মিথ্যা কথা বলে বিভ্রান্ত করা। তারা মানুষের শান্তি চায় না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে মারার হিসাব একদিন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দিতে হবে। বিএনপি দেশের ক্ষতি করে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। এই চট্টগ্রামে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকার আছে, এই আইন জাতির পিতা করে গেছেন। কিন্তু বিএনপি এই আইন ও অধিকার বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা সেই সমুদ্র জয় করেছি। আজ সেগুলো আমাদের কাজে লাগছে।’
এরআগে বেলা ৩টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়িবহর জনসভাস্থল নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড ময়দানে পৌঁছায়।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকা থেকে গিয়ে এ জনসভায় যোগ দেন।
এদিকে সকাল থেকেই জনসভাকে কেন্দ্র করে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে পলোগ্রাউন্ড ময়দান। দুপুর ১টার পর সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে সভা শুরু হয়। নৌকার আদলে সাজানো হয়েছে জনসভার মঞ্চ। সকাল থেকে মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) পৌঁছান। ওই সময় সেনাবাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি বিএমএতে ৮৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রামের ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম শহরে। সভাস্থল এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন সাড়ে সাত হাজার পুলিশ সদস্য।