সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নরসিংদীর মনোহরদীতে কৌশলে সম্পত্তি লিখে নিয়ে বৃদ্ধা মাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তার বড় মেয়ে খাদিজা আক্তার ও ছোট মেয়ে তাসলিমা আক্তারের বিরুদ্ধে। খাদিজা আক্তার উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের প্রবাসী শফিকুল ইসলাম ফালু মিয়ার স্ত্রী। মারধরের পর ওই বৃদ্ধা মাকে বিবস্ত্র অবস্থায় গাছে বেঁধে রাখে মেয়ে খাদিজা। জানা গেছে, নির্যাতিত ওই নারীর নাম জমিলা খাতুন।
তিনি লেবুতলা ইউনিয়নের মৃত শামসুদ্দিন মাঝির স্ত্রী। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। শামসুদ্দিন মাঝি মারা যাওয়ার পর ওই নারী স্বামীর কাছ থেকে প্রায় ৬ শতাংশ জমি পান। এ ছাড়াও ওই নারী তার বাবার বাড়ি থেকেও ওয়ারিশ সূত্রে কিছু সম্পত্তির মালিক হন। স্থানীয়রা জানান, মায়ের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে দুই বছর পূর্বে বৃদ্ধা মাকে বড় মেয়ে খাদিজা আক্তার তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যায়। কিছুদিন যেতে না যেতেই একমাত্র বড় ভাই আসাদুজ্জামানকে বঞ্চিত করে সকল সম্পত্তি মা জমিলা খাতুনের কাছ থেকে কৌশলে লিখে নেয় দুই মেয়ে খাদিজা ও তাসলিমা।
সম্পত্তি লিখে নেয়ার পর থেকেই মেয়ে খাদিজা প্রতিনিয়ত মাকে গলায় রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে। প্রতিবেশী জালাল মিয়া বলেন, বৃদ্ধার চিৎকারে আমাদের বসবাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিনিয়ত এই মহিলাকে মারধর করায় চিৎকার ও চেচামেচিতে আমাদের ঘুম আসে না। বৃদ্ধার প্রতি এমন নিষ্ঠুর অত্যাচার দেখে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদের গালিগালাজ করে খাদিজা। এ ছাড়াও খাদিজা প্রতিবেশীদের বলে আমি আমার মাকে যা খুশি তা করবো, তোমরা বলার কে। এদিকে মা তার দুই মেয়েকে সম্পত্তি লিখে দেয়ায়, অভিমানে ছেলে আসাদুজ্জামান মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে নির্যাতনের খবর শুনে বৃদ্ধ মাকে ছেলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ছেলে আসাদুজ্জামান বলেন, আমার মায়ের ওপর নির্যাতন হয়েছে তা আমি আগে জানতাম না। নির্যাতনের ঘটনা শুনে মাকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি ও চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। এখন থেকে মা আমার কাছে থাকবে। এ বিষয়ে দুই বোন ও বোনজামাই আতিক মিয়ার বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও তিনি জানান।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বড় মেয়ে খাদিজা আক্তার জানান, আমার মা পাগল তাই বেঁধে রাখি। ছোট মেয়ে তাসলিমা আক্তার বলেন, আমার মায়ের ওপর এমন নির্যাতন হয় আমার জানা ছিল না। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী (কর্মকর্তা) মো. রেজাউল করিম বলেন, এ ধরনের ফৌজদারি অপরাধ কোনোভাবেই কাম্য নয়। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানা পুলিশকে বলা হয়েছে।
জেবি