সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রাজবাড়ীর কালুখালীতে নিখোঁজের ১২ দিন পর পাটখেত থেকে জান্নাতুল নেছা (১৯) নামে এক নারীর মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়। এরপর এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মাহফুজ মন্ডল (২১) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ আগস্ট) তাকে আদালতে পাঠানো হলে সে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেই।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি মাহফুজ মন্ডল উপজাপর বি-কয়া গ্রামের পান্নু মন্ডলের ছেলে। ভুক্তভোগী জান্নাতুল নেছা (১৯) কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের পাতুরিয়া গ্রামের আবুল কাশেম ব্যাপারীর মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত থেকে নিখোঁজ ছিল জান্নাতুল। নিখোঁজের ১২ দিন পর গত ১৭ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের পাতুরিয়া এলাকার সিরাজ মন্ডলের পাটখেতের ভেতর থেকে একটি মরদেহের মাথার খুলি, চুল ও হাড়সহ বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। মরদেহটি শেয়াল অথবা কুকুরে খেয়ে কয়েক টুকরো করে ফেলে। যা দেখে চেনার উপায় ছিল না। পরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ এসে মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করে।
মরদেহের পাশে পড়ে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ, পায়ের স্যান্ডেল, পরিহিত জামা ও ওড়না দেখে পরিবার মৃত জান্নাতুল নেছাকে শনাক্ত করে। পরে ১৮ জুলাই জান্নাতুলের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-৮। পরে কালুখালী থানা পুলিশ এই ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে গত ৮ আগস্ট মাহফুজ মন্ডল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
কালুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ভিকটিমকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মাহফুজ নামের এক যুবককে আটক করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাকে গতকাল ৯ আগস্ট আদালতে পাঠানো হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।