সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল আবুল হোসেন মানিকের সহযোগিতায় ৬ বছর পর মো. টিপু (২৮) নামের এক ভারসাম্যহীন যুবক ফিরে পেলো পরিবার। কনস্টবেল মানিক এ পর্যন্ত ২২ জন অজ্ঞাতনামা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ভারসাম্যহীন মো. টিপু কুমিল্লার কোতয়ালী থানার পুরাতন চৌধুরী পাড়ার মো. ছবির মিয়ার ছেলে। পরিচয় পাওয়ার পর টিপুর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন তাকে বাড়ি নিয়ে যান।
কনস্টেবল মানিকের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল জানায়, কনস্টেবল মানিক ৩০ জুলাই থেকে অজ্ঞাতনামা ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক টিপুকে দেখাশোনা করে আসছিল। অবশেষে ৩ আগস্ট তাকে চাঁদপুর আদালত চত্বর থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুরের অর্পণ নামে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করেন। একই সঙ্গে টিপুর চিকিৎসা ব্যয় বহন করে।
এরপর মানিকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) ও বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা ভবঘুরে ব্যক্তির পরিবারের সন্ধানে প্রচার চালায়। সবশেষ ৭ আগস্ট অজ্ঞাতনামা যুবকের পরিচয় মিলে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে টিপুকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
একই সঙ্গে টিপুর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করেন পুলিশ সুপার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় ও রাশেদ।
জেলা পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, মানিক কক্সবাজার জেলা পুলিশে কর্মরত থাকাকালীন ৯ জন, চট্টগ্রাম শহর থেকে তিনজন, নোয়াখালী সদর হতে একজন, লক্ষ্মীপুর সদর হতে চারজন এবং চাঁদপুর জেলা সদর হতে টিপুসহ পাঁট জন অজ্ঞাতনামা মানসিক ভারসাম্যহীন পুরুষ ও মহিলা উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়েছেন। এরপর তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি এ পর্যন্ত ২৯ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। সে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। মানিক লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার রোকনপুর গ্রামের রুহুল আমিন ও নুরজাহান দম্পতির ছেলে। তিনি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগ দেন।
জেবি