দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গত সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে আওয়ামী লীগের ‘ভোট ডাকাতি’র প্রতিবাদে কফিন মিছিলের আয়োজন করেছিলো গণঅধিকার পরিষদ। তবে শুরুতেই বাধা দিয়ে পুলিশ মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের বানানো প্রতীকী কফিনটি ভেঙে যায়। পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দেখা যায়, কফিনটি পা দিয়ে পিষে দিচ্ছেন। পরে অবশ্য গণঅধিকার নেতাকর্মীরা পিছু হটে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে নুরুল হক নুর বলেন, আমরা দুই-আড়াইশ লোক শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে চেয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। লাথি দিয়ে আমাদের কফিন ভেঙে ফেলে। এটি কি পুলিশ করতে পারে? কোন আইন অনুযায়ী তারা এসব করল?
পুলিশ সদস্যদের হাতে ইলেকট্রিক শক লাঠি, টিপ ছুরির মতো জিনিস ছিল দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের চেয়ে পুলিশের সংখ্যা বেশি। ভিড়ের মাঝে কাউকে ছুরিকাঘাত করা বা পুলিশেরই কোনো সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে আমাদের ওপর দায় চাপাতো। ২৮ অক্টোবর ছাত্রলীগ, যুবলীগকে দিয়ে পুলিশ হত্যা করিয়ে মির্জা ফখরুলদের আসামি করা হয়েছে।
মিছিল শুরু হওয়ার পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুলহক নুর বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ৬০ শতাংশ ভোট কেটে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়। জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংসের প্রতিবাদে আজকে আমাদের এই কফিন মিছিল। গণতন্ত্র এখন কফিনে, আমরা গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণ করতে চাই। মারামারি, হানিহানি, হত্যার রাজনীতির অবসান চাই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে চাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। ২১ আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলার মতো ভয় থাকলে আমরা কথা দিচ্ছি আপনার পাশে থাকব। আমরা তো বলছি প্রয়োজনে ২/১ বছরের জন্য জাতীয় সরকার হোক। জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। ভারতীয় মদদে একতরফা নির্বাচন করে দেশ ধ্বংস করবেন না।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ৭ জানুয়ারি ফেলানি হত্যা দিবসে কেন ভোটের তারিখ ঠিক করা হলো? কারণ ভারত আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে ফেলানি হত্যাসহ সকল সীমান্ত হত্যার ঘটনা ভুলিয়ে দিতে চায়। তাই ভারতের প্রেসক্রিপশনে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঠিক করছে। টাকা-পয়সা দিয়ে অনেককে নির্বাচনে প্রচারণা-গণসংযোগ করাচ্ছে। তাই জনগণকে আমাদের সতর্ক ও সচেতন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এক-দেড় কিংবা ৫ হাজার টাকার জন্য দেশের ক্ষতি করা যাবে না। গতকাল দেখেছেন বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ ও দলীয় প্রার্থী শাম্মী আক্তারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। ওরা এমপি, মন্ত্রী হতে ক্ষমতায় থাকতে লাশের রাজনীতি করছে। তাই আমরা সকলকে ৭ তারিখের ভোট বর্জন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
ডিপি/