সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নোয়াখালীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নেছার উদ্দিন (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এটি নোয়াখালীতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত পাঁচদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর নেছার উদ্দিন প্রথমে রামগতিতে চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার তাকে নোয়াখালীর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আনা হয়। নেছারের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান তিনি।
ডেঙ্গুতে মৃত্যু হওয়া নেছার উদ্দিনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার পূজা নগর গ্রামে। গতকাল শুক্রবার (৪ আগস্ট) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন রোগী। হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪১ জন। এছাড়া জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬১ জন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ডেঙ্গু রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে জেনারেল হাসপাতালে দুটি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আলাদা করে ডেঙ্গু ইউনিট করা হয়েছে।
তথ্যগুলো নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, এটিই নোয়াখালীতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। এ জেলায় দ্রুত ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। এজন্য মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু সচেতনতায় মাইকিং, স্কুল-কলেজ, হাটবাজারে লিফলেট বিতরণসহ প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আশরাফ বলেন, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছে। রোগী বাড়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। বলা যায় জেলায় দ্রুত ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। এজন্য মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জমানো পানি ফেলে জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে করে ডেঙ্গু বিস্তার করতে না পারে। প্রয়োজনে রাতে ঘুমের সময় মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। জেলায় ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ অব্যহত রয়েছে।
জেবি