সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বর্ষণে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে আছে। এমনকি জলাবদ্ধতায় ঘরবন্দী অবস্থায় রয়েছেন খোদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
তবে মেয়রের বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, গত রাত থেকেই মেয়রের বাড়ির সামনের গলিতে পানি জমেছিল। শুক্রবার ভোরে ভারী বর্ষণ শুরু হলে বাড়ির উঠানে হাঁটু পানি জমে যায়। পুরো ভবন পানিবন্দি হয়ে আছে।
মেয়রের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) মোস্তফা জামাল চৌধুরী বলেন, ছুটির দিনে মেয়রের কোনো অনুষ্ঠান নেই। মেয়র বাসাতেই আছেন। পানি ওঠেছে কিনা জানি না। তবে গত বছর কয়েকবার পানি উঠেছিল।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি নগরের বহদ্দারহাটে। তিনি পরিবার নিয়ে বাড়ির দোতলা ভবনের ওপরের তলায় থাকেন। নিচের তলায় সচরাচর ঘরোয়া বৈঠক বা দর্শনার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে থাকেন। এর আগে গত বছরও জলাবদ্ধতায় একাধিকবার তলিয়ে গেছে মেয়রের বাড়ির উঠান ও সামনের রাস্তা। আশপাশের এলাকাগুলোতেও একই অবস্থা। একবার পানি ওঠলে নামতে কয়েকদিন সময় লাগে।
মেয়রের বাড়িতে বারবার পানি ওঠার জন্য চাক্তাই খালসহ আশপাশের খালে বাঁধ দেওয়াকে দায়ী করে আসছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) খালগুলোয় বাঁধ দিয়ে রেখেছে। এজন্য পানি নামতে পারছে না। তাই বারবার জলাবদ্ধতা হচ্ছে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন ঠিকমতো নালা-নর্দমাগুলো পরিষ্কার করলে পানি দ্রুত নেমে যেত। কিন্তু তা না করার কারণে বারবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে মেয়র যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, তেমনি তারাও দুর্ভোগে আছেন।
জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীতে ১১ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ব্যয়ও হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি বলে দাবি করছেন নগরীর অনেক বাসিন্দা।
জেবি