সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সমুদ্রে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যান বরগুনার জেলেরা। তাদের জালে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশও। প্রতিদিনই ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। ফলে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে।
জানা যায়, নিষেধাজ্ঞার পর সাতদিনে এ মৎস্যঘাটে প্রায় ১০০ টন সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়েছে। যার ভেতর ৭০ টনই ইলিশ। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় মাছ শিকারে যাওয়া অনেক ট্রলার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ঘাটে ফিরছেন।
সোমবার (৩১ জুলাই) পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর ঘাটে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিদিন সমুদ্র থেকে প্রায় ১০-১৫ ট্রলার মাছ মাছ নিয়ে ফিরছে। এরমধ্যে ছোটবড় ট্রলারে মাছ শিকার করে কেউ ফিরেছেন একদিনে আবার কেউ কেউ ফিরেছেন সাত থেকে আট দিন পর। প্রতিটি ট্রলারেই নানা প্রজাতির মাছসহ ইলিশ বোঝাই করে জেলেরা ফিরছেন ঘাটে। সমুদ্রে বড় আকৃতির ইলিশ ধরা পড়ায় ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। এতে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে।
মাঝি মো. নাসির বলেন, ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এখন সমুদ্রে বিভিন্ন মাছসহ বড় আকৃতির ইলিশ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত।
আরেক জেলে মো. কামাল মির বলেন, আমরা সমুদ্রে এখন যে ইলিশ পাই তার আকৃতি তুলনামূলক বড়। বাজারে মাছের দামও ভালো আছে। তবে সমুদ্রে কিছুটা উত্তাল আবহওয়ার কারণে অনেকেই দ্রুত ঘাটে ফিরে আসছেন।
মনির সিকদার নামের আরেকজন জেলে বলেন, সমুদ্রে গিয়ে মাছ পেলেই আমরা খুশি। এখন সাগরে মাছের গোন চলছে তাই সবার জালেই কম বেশি মাছ ধরা পড়ছে। তবে আবহাওয়া যদি ভালো থাকে তাহলে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বেকার থেকে আমাদের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্র থেকে সাতদিনের প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৪ জুলাই ঘাটে আসে সাড়ে ৭ টন মাছ, যার সাড়ে ৫ টনই ইলিশ। ২৫ জুলাই সাড়ে ১৪ টন মাছের মধ্যে সাড়ে ১১ টন ইলিশ, ২৬ জুলাই সাড়ে ১৯ টন মাছের মধ্যে সাড়ে ১২ টন ইলিশ, ২৭ জুলাই ১৪ টন মাছের মধ্যে ৯ টন ইলিশ, ২৮ জুলাই ১৪ টন মাছের মধ্যে ১১ টন ইলিশ, ২৯ জুলাই সাড়ে ১৫ টন মাছের মধ্যে ৯ টন ইলিশ, ৩০ জুলাই সাড়ে ১৪ টন মাছের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৮ টন ইলিশ এসেছে। এতে গত সাত দিনে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭০ টাকা।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের সহকারী বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিপন হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর যে আবহাওয়া তাতে সমুদ্রে মাছের পরিমাণ বেশি। এ অবতরণকেন্দ্রে বিক্রিত মাছের দামের শতকরা ১.২৫ শতাংশ রাজস্ব আদায় করে সরকার। এতে সমুদ্রে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং যে আকৃতির মাছ পাওয়া যায় তা ভালো দামে বিক্রি হওয়ায় সরকারে রাজস্ব আদায় বাড়বে।
জেবি